০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পার্ক-ই লালেহ

-

বিশ্বসভ্যতায় ইরানের বেশ অবদান । এ দেশের মানুষের সৌন্দর্যপ্রীতি আর সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক অনেক। এসবেরই অংশ এদের উদ্যান রচনা। এদের উদ্যানগুলোর খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। এগুলোরই একটি লালেহ উদ্যান। ইরানিরা একে বলে পার্ক-ই লালেহ।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে উদ্যানটি পার্ক-ই ফারাহ নামে পরিচিত ছিল। ফারাহ দিবার নামে এ নামকরণ। তিনি ছিলেন শাহবানু (সম্রাজ্ঞী), ইরানের সাবেক শাহানশাহ (সম্রাট) মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির স্ত্রী।
বিশাল এ বিনোদন উদ্যানটির অবস্থান ইরানের রাজধানী তেহরানের মধ্য এলাকায়। উদ্যানে রয়েছে শ্যামলিমা- বিভিন্ন গাছের সমাহার ও ফুলবাগান। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রবেশপথে রয়েছে ইরানের মধ্যযুগের জ্যোতির্বিদ বিরুনির ভাস্কর্য, যা সবুজ গাছগাছালির পটভূমিকায় হয়ে উঠেছে দারুণ সৌন্দর্যমণ্ডিত- বাড়িয়ে দিয়েছে উদ্যানের শোভা।
এখানকার হাঁটাপথ, বনভোজনের জন্য ছাউনি, বিশ্রামের জায়গা প্রভৃতি ইরানিদের স্বাস্থ্যসচেতনতা আর বিনোদনপ্রীতির পরিচয় বহন করে। বিশাল এ উদ্যানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করে, বিশেষ করে তরুণরা। তরুণরা এখানে একত্র হয় এবং অনেক পরিবার বনভোজন করে। অবকাশের আনন্দে অনাবিল হয় এখানকার পরিবেশ।
উদ্যানের চার পাশে রয়েছে কফি হাউজ, ফাস্টফুডের বিক্রয়কেন্দ্র, বুটিকের দোকান ইত্যাদি। এর পাশেই রয়েছে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সমসাময়িক কলার তেহরান জাদুঘর (তেহরান মিউজিয়াম অব কনটেমপোরারি আর্ট)। সব কিছু মিলে উদ্যানের পরিবেশ অসাধারণ।


আরো সংবাদ



premium cement