২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভিক্ষুককে ধমক দেয়া ঠিক নয়

-

ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে মানুষ অহঙ্কারী হয়ে যায়। অসহায় গরিব-দুঃখীকে পাশ কাটিয়ে চলে। তাদের দিকে ঘৃণার চোখে তাকায়। কখনো সাহায্যের জন্য তাদের দ্বারস্থ হলে ধমকের সুরে কথা বলে। অপমান করে। ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অথচ কোনো ভিক্ষুক সাহায্য চাইলে তাকে উদারচিত্তে দান করা উচিত। কিছু দিতে না পারলে ভালোভাবে বিদায় করা ধমক না দিয়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-‘এবং যে সাহায্যপ্রার্থী, তাকে ধমকাবেন না।’ (সূরা দুহা-১০)
অনেকে ঘরে দান করার মতো ধনসম্পদ রেখেও ভিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। এমনটি করা অনুচিত। নিজের সাধ্যানুযায়ী কিছু না কিছু দিয়ে দেবে। হোক সেটি অতি সামান্য। হজরত আবদুর রাহমান ইবনে বুজাইদ রহ: থেকে তার দাদী উন্মু বুজাইদ রা: বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে যেসব মহিলা বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন তিনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি রাসূল সা:-কে বললেন, ভিক্ষুক এসে আমার দরজায় দাঁড়ায়, অথচ আমার হাতে তাকে দেয়ার মতো কিছুই থাকে না। রাসূল সা: তাকে বললেন, ‘যদি তুমি (পশুর পায়ের) একটি ক্ষুর (খুবই সামান্য জিনিস) ছাড়া তাকে দেয়ার মতো আর কিছু না পাও তবে তাই তার হাতে তুলে দাও।’ (তিরমিজি-৬৬৫)
দান-খয়রাতের উপকারিতা
দান-খয়রাতে দুনিয়াবি ও পরকালীন বহু উপকার রয়েছে। বিশেষ কিছু উপকারিতা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালিক রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘দান-খয়রাত আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি-৬৬৪)

লেখক : তরুণ আলেম, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম, ময়মনসিংহ।


আরো সংবাদ



premium cement