বিদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার টন টমেটো আমদানি করতে হচ্ছে
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫৭
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো উৎপাদন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইনস্টিটিউটের গাজীপুরস্থ সেমিনার কক্ষে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
বারির গাজীপুরস্থ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো: মাজহারুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসেফ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. মো: জয়নুল আবেদীন, বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো: কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী এবং পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি ব্যাজড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক ড. মো: ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গাজীপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ ইশতিয়াক।
বারির গাজীপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আয়োজনে এবং ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি ব্যাজড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির অর্থায়নে এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রের ৩০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে ১৫ হাজার টন গ্রীষ্মকালীন টমেটো উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার টন টমেটো আমদানি করতে হচ্ছে। তবে দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবে একই সাথে আমাদের টমেটো আর আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ হচ্ছে। এ বছর আমরা বারির পক্ষ থেকে আমাদের নিজেদের উৎপাদিত হাইব্রিড টমেটোর বীজ কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছি এবং আগামীতেও আমরা কৃষকদেরকে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ তুলে দিতে চাই। আমরা আশা করছি দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা টমেটো রফতানির দিকে এগিয়ে যাব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা