রায়পুরায় ২ দলের টেটা যুদ্ধের প্রস্তুতিকালে নিহত ১

নরসিংদীর রায়পুরায় স্খানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দলের টেটা যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় নিজ দলের সদস্যদের হাতে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর হোসেন চানপুর ইউনিয়নের কুড়েরপার গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে। তিনি শহীদ মিয়ার দলের সমর্থক।

স্খানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরেই কুড়েরপাড় গ্রামের শহীদ মিয়ার দল এবং এরশাদ মিয়ার দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়ার পূর্বাভাস চলছিল। এর মধ্যে গত সপ্তাহ খানেক ধরে সবাই যার যার মতো করে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছিল। শনিবার সকালে শহীদ মিয়ার দলেরই সদস্য আলমগীরের সাথে ঝগড়া হয় তারই দলের প্রধান শহীদ মিয়ার। এরপর আলমগীর লোহার শাবল নিয়ে শহীদ মিয়াকে আঘাত করতে গেলে শহীদ মিয়ার ছেলে এবং একই পক্ষের বাকি সদস্যরা মিলে তাকে মারধর করে। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে পাশের জেলা ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর, তাদের বিরোধী দল এরশাদ মিয়ার দলের লোকজন নিহত আলমগীরকে তাদের দলের সদস্য দাবি করে শহীদ মিয়ার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়ের পাড় গ্রামের স্থানীয় একজন বলেন, ঝগরার প্রস্তুতির আশঙ্কায় মালামাল সব সরিয়ে নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই সবাই শুধু বিছানার চাদর বিছিয়ে ঘুমাচ্ছিল যেকোনো সময় ঝগড়া লাগতে পারে এই সম্ভাবনায়।

এর মধ্যে শহিদ মিয়ার দলের আলমগীর দলের প্রধান এবং একই বাড়ির সদস্য শহীদের সাথে ঝগরাকালে মারামারিতে নিহত হয়। আলমগীরকে আবার বিপরীত দল, অর্থাৎ এরশাদ মিয়ার দলের ওরা নিজেদের সদস্য দাবি করে শহিদ মিয়ার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে।

একজন নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার বলেন, একজন নিহত হয়েছে। তারা একই বাড়ির, সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, একজন মারা গেছেন এমন সংবাদ শুনেছি। ইতোমধ্যে আমাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

কিভাবে কি ঘটলো তা নিশ্চিত না এখনো। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি আমরা। অভিযোগ পেলে এবং অভিযোগের সত্যতা যদি থাকে তাহলে আইনাগত পদক্ষেপ নেবো।