০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাতুড়ি পেটায় আহত সেই মীমের জ্ঞান ফেরেনি ৮ দিনেও

হাতুড়ি পেটায় আহত সেই মীমের জ্ঞান ফেরেনি ৮ দিনেও - ফাইল ছবি

সংগ্রাম, আতাউর ও সম্রাটসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করেছে আলী হোসেন মেম্বার। গ্রুপটির সদস্যরা নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে হাত, পা ও মাথা থেতলে দেয়া মীমের জ্ঞান ফেরেনি আট দিনেও। এখন পর্যন্ত কোমায় রয়েছেন তিনি। মৃত না জীবিত কিছুই বুঝতে পারছে না তার পরিবার। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি।

গজারিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছে ডা: তপন ও টিটু হাজী। স্থানীয়রা অস্ত্রের ভয়ে কোনো ঘটনারই মুখ খুলতে রাজি হয় না। আলী হোসেন মেম্বার, সংগ্রাম এবং আতাউর মিলে এলাকায় ত্রাশের রাজ্য বানিয়ে রেখেছে। আলম হত্যারও আসামিরাও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ডা: মাজহারুল ইসলাম তপন ও লিটন হাজীর তত্ত্বাবধানে চলে আলী হোসেন মেম্বার, সংগ্রাম ও আতাউর। তাদের মাসিক বেতন দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উসকে দিচ্ছে ডাক্তার তপন ও লিটু হাজী এমনটিই অভিযোগ করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় চেয়ারম্যান ও কয়েকজন মেম্বার।

আলী হোসেন মেম্বার, সংগ্রাম ও আতাউর এলাকায় মাদক, অস্ত্র এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। তাদের কাছে ইসমানির চর এলাকার সকল লোকজন জিম্মি হয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না কেউ।

মীমের বাবা মো: আব্দুস সাত্তার (৬০) জানান, ইসমানির চরের মো: সংগ্রাম মোল্লা (২৪), মো: আতাউর (২৭), মো: সম্রাট (২২), মো: তুষায় (২০), মো: ছাব্বির (২২), মো: নিজুম (২২), মো: অপু (২১), কলসের কান্দির মো: আরজু (২০), মো: শুভসহ (২০), ১০ থেকে ১২ জনের একটি কিশোর গ্যাং মিলে তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম মীমকে হাতুড়ি, ডাসা ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হাত, পা ও মাথা থেঁতলে দিয়েছে। আট দিন ধরে মীম ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে আইসিউতে কোমায় রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, মো: সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) ১০ সেপ্টেম্বর বনভোজনে যাওয়ার জন্য সংগ্রামের কাছ থেকে ঋণ করে ৪০০ টাকা জমা দেন। ৪০০ টাকার জেরে ১৫ সেপ্টেম্বর ১টার সময় নাজিরচর থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার সময় ইসমানিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অ্যাডভান্স প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছা মাত্র হাতুড়ি, কাঠের ডাসা, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ করে গালিগালাজ করে। এ সময় তিনি প্রতিবাদ করলেই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মাঠে নিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ও পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। হাতুড়ি দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দুই হাতের কনুই, দুই পায়ের হাঁটুর হাড় ভেঙে ফেলে। এ সময় মীমের কাছে থাকা ১০০০ টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে কাঠের ডাসা, বাঁশের লাটি দিয়ে বাকিরা পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেঁতলে দেয়। মীমের চিৎকারে মো: ইমু (২৫) ও মো: রাজিব (২২) এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসমানির চরের আলম হত্যা মামলার আসামি সাজেদুল ইসলাম মীম। বিভিন্ন কারণে মীম, আলী হোসেন মেম্বার, সংগ্রাম ও আতাউরের বিভিন্ন গোপন বিষয় ফাঁস করে দেন।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রইছ উদ্দিন জানান, মীমের ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা সবাই পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
কুয়াকাটা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১১, আটক ২ মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস চীন যেভাবে মেক্সিকোকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে মুলাদীর মেঠোপথে শোভা ছড়ানো সোনাইল আজ বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটে ট্রাক্টর-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ইউক্রেনে ইস্টার প্রার্থনার মাঝে ড্রোন হামলা, রণাঙ্গনে রাশিয়ার সাফল্য দাবি যে সব কারণে করের বোঝা বাড়তে পারে আগামী বাজেটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত-জাপানের আপত্তি আ’লীগ নেতাকে কটূক্তি, ছাত্রলীগ সভাপতিকে শোকজ

সকল