২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে, লাউ যে বড় সোহাগী

নূরনগর গ্রামের শাকিল আলম - ছবি : নয়া দিগন্ত

গানে আছে, আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে, লাউ যে বড় সোহাগী...। তবে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নূরনগর গ্রামের শাকিল আলমের লাউ বড় সোহাগী না হলেও খুব সোহাগ করেই তিনি লাউয়ের চাষ করেন। বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবানও হয়েছেন তিনি।

এ বছর শাকিল আলম উপজেলার নূরনগর এলাকার বাড়ির অদূরে কোঠাবাড়ির চকে ৪০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে উচ্চফলনশীল লাউ বীজ বপন করেন তিনি। জমিতে ভালোভাবে লাউয়ের বীজতলা তৈরি করে জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি প্রথমে বীজ বপন করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হয়। ফলে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছে লাউ আসতে থাকে। লাউয়ের মাচা ভরে গেছে ছোট বড় লাউ দিয়ে।

এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি লাউ তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারছেন তিনি। গত দেড় মাস ধরে নিয়মিত মাচা থেকে লাউ তুলতে পারছেন। শাকিল আলম নলকুপ স্থাপনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকলেও ২০১৭ সালে সাভার যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর কৃষি কাজে আগ্রহ বাড়তে থাকে। ওই আলোকেই জমিতে লাউ চাষ করে ভালো ফলন পান তিনি।

এ বিষয়ে লাউ চাষী শাকিল আলম জানান, বাঁশ ও নেট দিয়ে মাচা তৈরি ও বীজতলা তৈরিসহ ৪০ শতাংশ জমিতে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করা হয়েছে এবং আগামী ২ মাস পর্যন্ত লাউ বিক্রির আশা করছেন।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাহিদুজ্জামান জানান, কোনো কৃষক যদি আগ্রহের সাথে ফসল উৎপাদন করে থাকে তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে আমরা কৃষককে আরো সাবলম্বী করার জন্য সহযোগিতা করে থাকি।


আরো সংবাদ



premium cement