২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন স্ত্রী-স্বামী সহ সিএনজি ছিনতাইকারী চক্র

চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন স্ত্রী-স্বামী সহ সিএনজি ছিনতাইকারী চক্র - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্ত্রী-স্বামী সহ চার সিএনজি ছিনতাইকারী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তারা কেরানীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে সিএনজি ভাড়া করে চালককে কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তা ছিনতাই করত। এই কাজের মূল হোতা শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী বাগবাড়ি গ্রামের মারফত আলী শেখের ছেলে হাবীবুর রহমান শামীম। কয়েক বছর আগে এলাকা থেকে চলে যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে। সেখানে কখনো শামীম কখনো শাকিলসহ বিভিন্ন সময় ছদ্ম নাম ধারণ করে জড়িয়ে পরে নানা অপকর্মে। এক সময় নিজেই গড়ে তুলে সিএনজি ছিনতাইকারী চক্র। চক্রটি ঢাকা-কেরাণীগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে যাত্রী সেজে সিএনজি ভাড়া করে নির্জন এলাকায় নিয়ে ছিনতাই করত। সিএসজি চালক যাতে সন্দেহ করতে না পারে এজন্য হাবীব তার চতুর্থ স্ত্রী মায়ানুর সুমীকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য করে নেয়।

বুধবার দুপুরে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন। তিনি জানান, হাবীব ও তার স্ত্রী সহ এই চক্রের চার সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার কেসি রোডের তন্তর ইউনিয়নের সুফিগঞ্জ এলাকায় সিএনজি চালককে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাবীব জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চালক রানা হাওলাদারের সিএনজিটি কেরাণীগঞ্জের খোলামোড়া থেকে পাঁচজন মিলে ভাড়া করে। বেলা ১১টার দিকে আলমপুর-বাড়ৈখালী সড়কের মাঝামাঝি এসে তারা সিএনজি থেকে নামে। এ সময় হাবীবের স্ত্রী সুমী চালক রানা হাওলাদারকে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত পানীয় খেতে বললে তিনি তা প্রত্যাখান করে। পরে তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। হাঁসাড়া বাজারে এসে চালক রানার হাত-পা বাঁধার জন্য লাইলনের রশি কিনে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তারা সিএনজিতে উঠে কেসি রোডের তন্তর এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় হাবীব চালক রানার গলায় ছুরি ধরে রাখে। বাকিরা তার হাত-পা বাঁধা শুরু করলে তিনি সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে পরে চিৎকার শুরু করে। রানার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পাভেল, ফজলুল করিম ও সুমীকে আটক করে। হাবীব ও শান্ত ওরফে জিএম পুকুরে ঝাপ দিয়ে কচুরি পানায় লুকিয়ে থাকে। বিকাল ৪টার দিকে হাবীব কচুরিপানা থেকে উঠে আসার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পাশেই অবস্থান নেয়া পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম আরো বলেন, হাবীব ও তার স্ত্রী সুমীর বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement