কিশোরগঞ্জে আরো ৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত

কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ শনিবার (৬ জুন) রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১ জন। রোববার সকালে নয়াদিগন্তকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার  সিভিল সার্জন ডা: মো: মুজিবুর রহমান। জেলায় এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০২ জনে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ জন।

সিভিল সার্জন জানান, রোববার (৩১ মে) জেলায় সংগৃহীত ৩১ জনের নমুনা মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) এবং বুধবার (৩ জুন) সংগৃহীত ৯৪ জনের নমুনা কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।

দু’টি ল্যাবে মোট ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কটিয়াদী উপজেলায় রয়েছেন তিনজন এবং বাকি ৪২ জনই ভৈরব উপজেলার। মৃতের তালিকায় যুক্ত হওয়া ব্যাক্তির বাড়ি ভৈরব পৌরসভার পিডিবি অফিস সংলগ্ন আমলাপাড়ায়। তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সিভিল সার্জন মো: মুজিবুর রহমান বলেন, জেলায় ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন দুজন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ২২১ জন।

এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮২ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৫০ জন,  পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২২ জন, ভৈরব উপজেলায় ২৪২ জন, নিকলী উপজেলায় ১০ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৩৭ জন, ইটনা উপজেলায় ১৭ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৫ জন  ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৪ জন  কোভিড রোগী পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে সদরে ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ১ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১ জন ও মিঠামইন উপজেলায় ১ জন মারা গেছেন।

বর্তমানে জেলায় মোট ৩৬৮ জন করোনা রোগী এবং ৭ জন সাসপেক্টটেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে অন্য জেলায় শনাক্তকৃত ২ জন করোনা পজেটিভ রয়েছেন।