২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না - ছবি : নয়া দিগন্ত

কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরিতে রোববার বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মস্থলে ফেরা দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পার হচ্ছেন। তবে ফেরিগুলোতে আগে যানবাহন লোড করে পরে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে যাত্রী চাপে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিকল্প যানবাহনে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন।

জানা যায়, রোববার বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের ঢল নামে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ৩-৪ গুন বাড়তি ভাড়া দিয়ে বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে। অনেকে এসেছে পিকআপ পণ্যবাহী ট্রাকেও। সকাল থেকে ১৪টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। তবে ফেরিতে উঠতে যাত্রীদের পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঘাটগুলোতে অবস্থান নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পুলিশ ফেরিতে আগে যানবাহন বোঝাই করে। তবে যাত্রীদের ঢলের কারণে ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়েই ফেরিগুলো ছাড়তে বাধ্য হয়। ফেরি ঘাটে ছিল ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের দীর্ঘ লাইন। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাঠালবাড়ি ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মোঃ আলীম মিয়া বলেন, সরকারের নির্দেশনা জনগণ মানছেন না। ফেরিতে যানবাহন তোলার পর মানুষের চাপে এক ইঞ্চি জায়গাও থাকছে না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আজ অনেক বেশি চাপ। তাই আমরা আগে যানবাহন ও পরে যাত্রী তুলে দিচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement