ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রামের চৈতী কর্মকার নামে এক গৃহবধূ তার ২ বছরের একমাত্র শিশুপুত্র সিদ্ধার্থ কর্মকার নিয়ে গত ১৩ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশে বের হয়ে গত এক সপ্তাহেও মা ও ছেলে বাড়ি ফেরেনি। ১৪ জুলাই এ নিয়ে থানায় জিডি করা হলে পুলিশও এখন পর্যন্ত মা-ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি। নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী ও বাবার বাড়িতে সবাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছেন।
উপজেলার শ্যামগ্রামের রিপন কর্মকারের সাথে চার বছর আগে নবীনগর পৌর এলাকার সুহাতা গ্রামের চৈতী কর্মকারের বিয়ে হয়। সিদ্ধার্থ কর্মকার নামে দুই বছরের তাদেও একটি শিশুপুত্রও রয়েছে।
চৈতি নবীনগর মহিলা কলেজে ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত থাকায় বেশির ভাগ সময়ই বাবার বাড়িতে থাকতো।
‘হোপ’ এনজিওতে শ্যামগ্রাম শাখায় কর্মরত রিপন কর্মকার বলেন, ঘটনার দিন ১৩ জুলাই সকালে আমার স্ত্রী চৈতী শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা সদরের পাশে আলীয়াবাদ মার্কেটের জোনাকী শিল্পালয়ে স্বর্ণ কিনতে যায়। দুপুর পর্যন্ত ফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু দিন শেষে রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় চৈতীর বাপের বাড়ি সুহাতাসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও মা-ছেলের হদিস না পেয়ে এবং তার মোবাইল নম্বরটাও বন্ধ থাকায়,পরদিন ১৪ জুলাই নবীনগর থানায় বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জিডি করি। কিন্তু আজ ৯ দিনেও আমার স্ত্রীপুত্রের সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
চৈতীর বাবা সুহাতা গ্রামের ব্যবসায়ী নারায়ণ কর্মকার বলেন, অনেক সখ করে মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আদরের নাতিসহ মেয়েটা যে এভাবে নিঁখোজ হয়ে যাবে, সেটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না।
স্বর্ণের দোকানদার সুবীর বলেন, আমার দোকান থেকে কানের ও হাতের একটি ব্রেসলেট কিনে বাচ্চাসহ ওই মহিলা একটি রিকশায় করে নবীনগরের উদ্দেশে যেতে দেখেছি।
নবীনগর থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। কিন্তু গৃহবধূর মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা