টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ অফিসের কাছে রোববার রাতে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ডিবি পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন সেলিম, আশিক ও জাহাঙ্গীর। এরা মতি নামের সরকারি
দলের এক প্রভাবশালী নেতার ক্যাডার বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা ছাড়াও এরা ওই নেতা হয়ে পুরো বিসিক এলাকার মিল কারখানার ওয়েস্টেজ মালের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে বলে স্থানীয়রা জানান।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ডিবি পুলিশ স্থানীয় সাহারা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করলে এদের সহযোগীরা ডিবি পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গ্রেফতাকৃতদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়। এদের একজনের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম মমিন। তিনি স্থানীয় আলেরটেকের আজিজ শিকদারের ছেলে বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ অপর জনের নাম জানা যায়নি। হামলায় ডিবি পুলিশের গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ডিবি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
হামলায় ঢাকা ডিবির একজন পুলিশ পরিদর্শকসহ (ওসি) দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এব্যাপারে রাতে তাৎক্ষণিকভাবে ডিএমপি ও জিএমপি ডিবির বক্তব্য পাওয়া না গেলেও টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র রাতেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাচক্রে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক টঙ্গী পৌর মেয়র এডভোকেড আজমত উল্লা খান রেল সিগনালে আটকা পড়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা