মানিকগঞ্জের ঘিওরে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ইউপি মেম্বারসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে ঘিওর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। বুধবার শিশু ধর্ষণের ঘটনা এবং সমাজপতিদের ধামাচাপা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মামলার আসামিরা হলেন- বড়টিয়া ইউপি সদস্য মো: রমজান আলী, বিল্লাল হোসেন, বেগম, বাবু ও বাকিবিল্লাহসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলালকে বাঁচাতে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিসে দুলালকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর বাদীকে বলা হয় যা হবার তাই হয়েছে এ নিয়ে থানা পুলিশ কিম্বা কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামে দশ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ গ্রামের মাতব্বররা শালিসি বৈঠকের আয়োজন করে। শালিসে অভিযুক্ত দুলালকে লাখ টাকা জরিমানা করে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর সোমবার ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা। পরদিন ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত দুলাল পলাতক রয়েছে।