২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধুভল্লুক নৈশবিহারী

মধুভল্লুক নৈশবিহারী -

মধুভল্লুকের কথা বলছি। এরা আসলে ভল্লুক নয় - প্রোসিওনিডি পরিবারের একধরনের বৃক্ষবাসী স্তন্যপায়ী প্রাণী। মধু খাওয়ার জন্য এরা প্রায়ই মৌচাকে হানা দেয়। এ কারণেই এদের মধুভল্লুক বলা হয়। এদের আরেকটি নাম কিংকাপু। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মম-লীয় বনে এরা বসবাস করে।
মধুভল্লুক আকারে খুব বেশি বড় নয়। দেহের দৈর্ঘ্য মাত্র ১৬ থেকে ২২ ইঞ্চি। ওজন প্রায় তিন কেজি। এদের দেহ বাদামি লোমে ঢাকা থাকে।
মধুভল্লুকের লেজ ১৫ থেকে ২২ ইঞ্চি লম্বা। লেজকে এরা পঞ্চম হাত হিসেবে ব্যবহার করে। লেজ দিয়ে প্যাঁচ দিয়ে এরা গাছের ডালে ঝুলতে পারে। এ ছাড়া লেজ দিয়ে এরা দেহের ভারসাম্যও রক্ষা করে। এদের জিহ্বা পাঁচ ইঞ্চি লম্বা। এ লম্বা জিহ্বা এরা মৌচাক থেকে মধু খাওয়ার সময় ব্যবহার করে।
মধুভল্লুক সারা রাত বনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। আর সকাল হলে নির্দিষ্ট গাছের গর্তে ঘুমাতে আসে। যেন এরা বনের নৈশপ্রহরী। এদের এ বৈশিষ্ট্যের কারণে বেলিজে এদের নৈশবিহারী বলা হয়। রাতেই এরা খাবার সংগ্রহ করে। ফুল, ফল, বিভিন্ন পতঙ্গ ও মধু এদের প্রধান খাবার।
মধুভল্লুক এদের বসবাসের অঞ্চল এবং গমনপথ বিশেষ একধরনের ঘ্রাণ দিয়ে চিহ্নিত করে রাখে। এ ঘ্রাণ বুক ও পেটের গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। এদের একাকী, কখনো ছোট দলে চলাচল করতে দেখা যায়। শিয়াল, জাগুয়ার, অসিলট এদের প্রধান শত্রু।
মধুভল্লুকের গর্ভধারণ সময় ১১২ থেকে ১১৪ দিন। বসন্ত অথবা গ্রীষ্মকালে একটি অথবা দু’টি বাচ্চা প্রসব করে। এরা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দুই মাস বয়স হলেই এরা লেজের সাহায্যে গাছের ডালে ঝুলতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু

সকল