সতেরো.
নজু কেঁদে উঠল, ‘কী বলেন মিয়া ভাই? আমার জমি কে জবর দখল করে নেবে?’
‘নেয়ার লোকের অভাব আছে? জালদলিল হয়ে গেছে। কোর্টে দেখালেই জমি তার। বাগানবাড়ি করবে। তার টাকা আছে। মামলা মকদ্দমায় তুমি পারবে না।
নজু একেবারে কেঁদে আব্বাছ খাঁর পায়ে পড়ল। ‘মিয়া ভাই, আমার জমিটা বাঁচান। জমি গেলে বৌ মেয়ে নিয়ে একেবারে পথে বসতে হবে।’
আব্বাছ খাঁ ফিসফিস করে বলল, ‘আমি যা বলি তাই শোন। তুমি প্রতারণার বিরুদ্ধে কোর্টে আগেই একটা কেস দিয়ে দাও। তাহলে প্রতারক ব্যাটা সুবিধা করতে পারবে না।’ প্রতারকের নাম বলে দিলো।
‘আপনি আমারে বাঁচালেন মিয়া ভাই।’
নজুর বাড়ি থেকে বেরুনোর সময় আব্বাছ খাঁ মনে মনে বলল, ‘আর আমি শেষ।’
শারাফাত আলী সত্যি সত্যি ভূতের ওঝার কাছে এসেছে। নিজের গরজেই আসতে হয়েছে। গত এক সপ্তাহে তার সুদের কারবারে দেড় লাখ টাকা লস গেছে। শুধু সুদটা লস গেলে কোনো কথা ছিল না। আসল টাকাও মাফ করে দিয়েছে। এভাবে চললে ফুটো থালা নিয়ে পথে বসতে সময় লাগবে না।
ভূতের ওঝার চেহারা ভূতের মতোই। দেখলেই ভয় লাগে। কিন্তু এখন ভয় পাওয়ার সময় না। ভয় তাড়ানোর সময়।
ভূতের ওঝা হে হে করে হেসে বলল, ‘ঘটনা কী? ভূতের বাড়িতে হাতির পাড়া।’ পথ আলীর দেহ এখন সত্যি হাতির মতোই।
শারাফাত আলী মিনমিন করে বলল, ‘মাথার ঠিক নাই। মাথাটা ঠিক করতে আসছি।’
‘পাগলে বলে কী? মাথার ঠিক নাই। হা হা হা।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা