২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়ারূপ

-

ঊনচল্লিশ.

তাহলে আপুর কথাই ঠিক। ওটা কোনো ভূতপ্রেতজিন ছিল না। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কিছু একটার অস্তিত্ব টের পেয়েছিল, আর আপুর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ঠিকই মানুষটাকেও ঠাহর করে নিয়েছে।
সবুরের ওপর এক ধরনের রাগ হতে থাকে আমার। আমাদের বাড়ির শান্তি নষ্ট করছে সে। কিন্তু বড়রা যদি ওকে তাড়ানোর ব্যবস্থা না করে তাহলে আমি কী করতে পারি।
তখনই পাখির কথা মনে পড়ে গেল আমার। জিন তাড়ানোর পর থেকে পাখিকে আর দেখিনি আমি। সত্যি বলতে কি, ওর প্রতি এক ধরনের মায়া পড়ে যাওয়ায় ওকে দেখতে ইচ্ছে করে, ওর সঙ্গ পেতে ইচ্ছে করে। আবার ওর কথা চিন্তা করলে এক ধরনের ভয় ভয়ও করে আমার।
টিউবওয়েলের দিকে গেলাম না। অর্ধ ভেজা শরীর নিয়ে চলে এলাম পুকুর পাড়ের পেয়ারা গাছতলায়। এখন আমি জানি কিভাবে পাখিকে ডেকে আনতে হয়। আর ও এলে ওকে মুখ ফুটে কিছুই বলা লাগে না। কিভাবে কিভাবে যেন আমার কথা বুঝে ফেলে। আমার উইশফুল থিংকিংগুলো জেনে যায়।
মনে হলো আজ কোনো একটা ভুল হয়েছে। হাত পা শরীর ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথেই বুঝতে পারলাম দম বন্ধ হয়ে আসছে...
আর ঠিক তখনই তাকে দেখতে পেলাম।
না, পাখিকে নয়।
কালো পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া চেহারা বিকৃত বীভৎস ভয়ানক নাক মুখ চোখের অস্তিত্বহীন পোড়া শরীরের ওপর গোলাকার মণ্ডের মতো মাথার একজন মানুষ। আমার চোখের সামনে। পেয়ারা গাছের ডাল থেকে উল্টো হয়ে ঝুলছে। আর পেয়ারা গাছের ডাল নয় সেই মানুষটার পোড়া কালো দুই হাত আমার গলা সজোরে চেপে ধরে আছে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement