০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

বায়ান্ন.

পরীর পিঠে থাকাকালীন দূর থেকে দেখে রাজ্যটাকে যতটা শ্বেতশুভ্র মনে হচ্ছিল এখন দেখা যাচ্ছে, না ততটা সাদা না।তবে সাদার আধিক্যই বেশি। গোলাকার একই সাইজের একই রকমের সাদা বাড়ির উপরের দিকে গম্বুজাকৃতি সুচালা হয়ে উপরে উঠে গেছে। সারি বাধা এরকম বাড়ির সংখ্যা এত বেশি যে যতদূর চোখ যায় এক লাইনে শুধু এই বাড়িই দেখা যায়। এজন্য হয়তো দূর থেকে শহরটাকে এতটা সাদা লাগছিল।

পরিচ্ছন্ন রুপালি ইট বিছানো পায়ে চলার পথ দিয়ে ওরা হাঁটতে থাকে। দু’পাশ বড় বড় সবুজ গাছের সারি মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। রাস্তার দু’পাশে ফুটে আছে হরেক রকমের হলুদ ফুল। হলুদে হলুদে ছেয়ে আছে দু’পাশ। অন্য রঙের ফুল যে নেই তা নয় তবে হলুদ ফুল এত বেশি যে লাল নীল বেগুনি ফুলগুলোকেও হলুদ বলে মনে হচ্ছে। সব একেবারে ছবির মতো। কোথাও একটা ঝরা পাতা পড়ে নেই। নেই সামান্যতম কাগজের টুকরোও।
আরেকটু এগিয়ে যেতেই তারা পরীলয়ে এসে পড়ল। রাস্তার দু’পাশে একই ধাঁচের দোকানপাট। তবে দোকানের ধাঁচ একই হলেও বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন জিনিস সাজিয়ে রাখা আছে। তবে দোকানের ভেতরে কোনো দোকানি নেই। কাচের দরজা ঠেলে নারী পুরুষ শিশু পরীরা দোকানে ঢুকছে এবং জিনিস পছন্দ করে নিয়ে বের হয়ে আসছে।
রাস্তায় খুব বেশি পরীজনের আনাগোনা নেই। মাঝে মধ্যে দু-একজন শিশু কিশোরী পরী এবং তাদের মায়েদের দেখা যাচ্ছে। তারা সবাই আনন্দিত মুখে এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে আসছে। তাদের সবাইকে দেখাচ্ছে পরিতৃপ্ত সচ্ছল সুখী আনন্দিত।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement