০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নি ত্যো প ন্যা স

স্কুল ছুটির পর

-

ঊনচল্লিশ.

ওর মধ্যে কেউ লুকিয়ে থাকলে বাইরে থেকে দেখে কার সাধ্য। টিপুর বুদ্ধি মতো রনি আর মিঠু কাজের ছেলে মজনুকে নিয়ে পোড়োবাড়ির সামনের ঢোকার পথের দিকে নজর রাখতে লাগল। আর টিপু বাবার সাথে পেছন দিকের পথের সামনে দাঁড়িয়ে রইল। এর মধ্যে টিপু বাবার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে হেডস্যারের মোবাইলে ওদের অবস্থানের কথা জানিয়ে এসএমএস পাঠিয়ে দিয়েছে।
প্রথমে ব্যাপারটাকে তেমন পাত্তা না দিলেও তিরিশ লাখের কথা শুনে পুলিশেরা চাঙ্গা হয়ে উঠল। ব্যাপারটা কী দেখেই আসা যাক না, এমন ভাব নিয়ে পুলিশেরা এগিয়ে এলো, অবশেষে ভালো দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলো।
পোড়োবাড়িতে ঢুকেই পুলিশের দল বুঝতে পারল এখানে কেউ আছে। তারা টিপুর দেখানোমতো চারিদিকে ঘিরে ফেলল। দুই ডাকাত তখন ইটে হেলান দিয়ে হাতপা ছড়িয়ে রেস্ট নিচ্ছিল। তাদের পাকড়াও করতে বেগ পেতে হলো না। হুটোপুটির মধ্যে সকালের আলো ফুটতে শুরু করেছে।

ডাকাত ধরার ঘটনায় এলাকাবাসী, লটারির কর্তৃপক্ষও হাজির।
আপাতত লটারি বন্ধ থাকলেও টিপুর কপালে পুরস্কার জুটে গেছে। কর্তৃপক্ষ টিপুকে কম্পিউটার উপহার দিয়েছে। এখন সে চুটিয়ে গেমস খেলতে পারে।
নশুকে এখন আর বেয়ারিংয়ের গাড়ি চড়তে হয় না। একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে লটারির কর্তৃপক্ষ।
(শেষ)


আরো সংবাদ



premium cement