৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প লি নে শি য়া ন লি জে ন্ট

বাইন মাছ ও একটি নারকেল গাছ

-

(গত দিনের পর)

সখিদের সাথে হিনাও নিজ বাড়িতে চলে আসে।
কিন্তু বাইন মাছের মনোবাঞ্জনা তো আর মিছে হবার নয়। সেই বাইন কুমারের মুণ্ডু থেকেই জন্ম নিয়েছে এই যে এই নারকেল গাছটি। তাই, এ গাছের ডাবের জল এত মিষ্টি।’ জলকন্যা শেষ করে তার কাহিনী। সে আরো বলে, দেখছ না, হে পরদেশী পর্যটক, কী সুন্দর লিকলিকে বাইন মাছের শরীরের মতোই তরতাজা এই গাছটি। এই গাছের ডাবের পানিও কতই না ঠাণ্ডা ও তৃষ্ণা নিবারক।
পর্যটক বলেন, ‘দারুণ তো! অবাক করা কাহিনী শোনালে তুমি।’
জলকন্যা বলে, ‘এর কয়েক বছর পর তাহিতিতে দ্বীপে শুরু হয় প্রচণ্ড খরা। আগুনের তো সেই দিনগুলোতে ঠাণ্ডা পানির হাহাকার পড়ে যায়। দ্বীপের কোথাও পান করার মতো পানি ছিল না। সব পুকুর-ঝরনা ও কুয়ো শুকিয়ে যায়। তৃষ্ণায় দ্বীপের পশুপাখি ও মানুষ হাঁসফাঁস করতে থাকে। সেই খরার মৌসুমে এই নারকেল গাছটিতে প্রচুর ডাব হয়। একদিন দুপুরের ঘটনা বলি। প্রচণ্ড রোদে হিনা তার সখিদের নিয়ে সাগর পাড়ে আসে স্নান করতে। তত দিনে হিনা ভুলেই গেছে সেই বাইন মাছের ভালোবাসার কাহিনী। ভুলেই গেছে, ‘এমন দিন আসবে যখন তুমি আমার অনুরাগী হবে। দ্বীপের লু হাওয়ায় যখন প্রাণ তোমার ওষ্ঠাগত হবে, আমাকে ভালোবাসবে তুমি, আর পূর্ণতা পাবে আমার ভালোবাসা।’ হিনার স্মৃতির পট থেকে মুছে গিয়েছিল বাইন কুমারের সেই কথা। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement