০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বাইশ.
‘ডেনি যখন অবসর নিতে যাচ্ছে সে-সময় আমি লজটা কিনি,’ লেভিন বললেন। ‘অনেক বলেকয়ে এখানে কাজ করতে রাজি করিয়েছি ওকে। আমার লজ কেনার দিন থেকেই এখানে আছে ও।’
‘এখানে এখন যারা আছে, তাদের দেখে মনে হয় না এভাবে ব্রেক বিকল করে দিতে পারবে,’ হেইডেন বললেন। এখনও ব্রেকটা নিয়ে ভাবছেন। ‘বিশেষ করে ওই বুড়ো কার্টার আর তার নার্স-সঙ্গী ক্রিস্টোফার। তোমার কি মনে হয়, লেভিন?’
একমত হয়ে মাথা নাড়লেন লেভিন। ‘না, পারবেন না। দেখে তো মেকারিড বলে মনে হয় না ওদের।’
‘এখানে শিকার পাওয়া যায়?’ সুজা জানতে চাইল।
‘তা যায়, ’ হেইডেন জবাব দিলেন। ‘তবে যারা এসেছে, তারা কতখানি শিকারি, এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে আমার। আমি শিওর, ওদের কেউ কেউ শুধু বুনো জানোয়ারের ছবি তুলতে এসেছে।’
‘চলো,’ লেভিন বললেন, ‘ক্যাথি আর ইরার সঙ্গে কথা বলি। রান্নাঘরে ডিনার রেডি করছে ওরা। ও হ্যাঁ, ভালো কথা, ইরা কিন্তু জানে না তোমরা গোয়েন্দা। ওকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলতে চাইনি।’
রেজা-সুজাকে লজের দিকে নিয়ে চললেন তিনি। লিভিংরুমের পাশ কাটানোর সময় ওখানে বসে থাকা দু’জন লোককে সাদর-সম্ভাষণ জানালেন।
‘হ্যাল্লো, মিস্টার কার্টার,’ পুরু কাঁচের চশমা পরা একজন বৃদ্ধকে উদ্দেশ করে বললেন তিনি। ‘ভালো আছেন?’
‘কি বলছেন উনি?’ ভাঙা ভাঙা বুড়োটে গলায় পাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলেন মিস্টার কার্টার। মনে হলো, কানে ঠিকমতো শোনেন না।
ওঁর পাশে বসা গাট্টাগোট্টা ভারি শরীরের টাক মাথা লোকটা চেঁচিয়ে বললেন, ‘আপনি ভালো আছেন কি না জিজ্ঞেস করছেন উনি।’
‘হ্যাঁ, ভালোই আছি,’ ঘোঁৎ-ঘোঁৎ করে জবাব দিলেন মিস্টার কার্টার। ‘খুব ভালো।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement