২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্বের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী

হিম্বা

-

আজ তোমরা জানবে হিম্বা সম্পর্কে। এরা আফ্রিকার একটি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ

হিম্বা কী ? একটি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী। জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। নামিবিয়ার উত্তরাংশের কুনেন অঞ্চল এবং অ্যাঙ্গোলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এদের বাস।
হিম্বাদের বেশির ভাগ যাযাবর। হেরেরো জাতির সাথে এদের সাদৃশ্য রয়েছে। হিম্বারা কথা বলে ওটজিহিম্বা ভাষায়, যা হেরেরো ভাষার একটি উপভাষা।
হিম্বারা একেশ্বরবাদী। এদের দেবতার নাম মুকুরু। এদের প্রত্যেক পরিবারের নিজস্ব পূর্বপুরুষের পুরুষানুক্রমিক আগুন আছে, যা অগ্নিরক্ষকের কাছে থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে অগ্নিরক্ষক পুরুষানুক্রমিক আগুন প্রতি সাত থেকে আট দিন পর মুকুরু ও পূর্বপুরুষের উদ্দেশে নিবেদন করে। মুকুরু যদি কোনো কারণে অন্য এলাকায় ব্যস্ত থাকেন, মুকুরুর প্রতিনিধি হিসেবে পূর্বপুরুষেরা কাজ করেন। মুকুরু সব সময় কল্যাণ করেনÑ তিনি শুধু আশীর্বাদ করেন, অভিশাপ দেন না। আর পূর্বপুরুষেরা আশীর্বাদ ও অভিশাপÑ দুটোই করেন।
হিম্বারা সাধারণত পশুপালক। গরু ও ছাগলের বংশবিস্তারে এরা যতœশীল। মূলত এরা পশুপালন করেই জীবনধারণ করে।
হিম্বা নারী খুবই পরিশ্রমী। শারীরিক পরিশ্রদের কাজগুলো এরাই বেশি করে। এ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দূর থেকে পানি বয়ে আনা, ঘর তৈরি করা ইত্যাদি। পুরুষেরা রাজনৈতিক কাজ ও বিচার-আচার করে।
হিম্বারা স্বল্পবসনা। আধুনিক পোশাক এদের সমাজে বিরল। ঐতিহ্যগতভাবে এরা ঊর্ধ্বাঙ্গে কোনো কাপড় পরে না। নিম্নাঙ্গে এদের (নারী-পুরুষ উভয়েই) নেংটি বা ঘাগরা পরতে দেখা যায়।
সম্প্রতি হিম্বারা নামিবিয়ার ক্যামানজাবে দুটি গ্রাম তৈরি করেছে। গ্রাম দুটি পর্যটকদের গন্তব্যস্থলে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement