০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কে কী------ কেন কিভাবে

বেইহাই পার্ক

-

আজ তোমরা জানবে বেইহাই পার্ক সম্পর্কে । এটি বর্তমানে চীনের সবচেয়ে ধ্রুপদী বাগিচাগুলোর একটি, যেখানে স্থান পেয়েছে কৃত্রিম পাহাড়, প্যাভিলিয়ন, হল, মন্দির ও ঘেরা করিডর। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ

চীন প্রাচীন সভ্যতার দেশ। এ দেশের রাজধানী বেইজিংয়ে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান। এগুলোরই একটি বেইহাই পার্ক (উত্তর সাগর উদ্যান)। ১০ শতকে এটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্যানটির অবস্থান বেইজিংয়ের নিষিদ্ধ নগরীর উত্তর সদর দরজার আধা কিলোমিটার পশ্চিমে। এটি চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যানগুলোর একটি। উদ্যানের আয়তন ৬৮ হেক্টর, যার অর্ধেকের বেশি বেইহাই সরোবর।
উদ্যানটি বিভিন্ন রাজবংশের সময় সম্রাটরা প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করেন। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও ফুলবাগান। পশ্চিমাদের কাছে একসময় এটি হোয়াইট প্যালেস (শ্বেতপ্রাসাদ) নামে পরিচিত ছিল। বেইহাই উদ্যানের প্রধান দৃশ্যপট রচিত হয়েছে বেইহাই সরোবর, জেড দ্বীপ, জিনজিনহাই, নয় ড্রাগন পর্দা (দেয়াল), গোলাকার নগর, সাদা প্যাগোডা, সুহাভাতি বাগান, য়োনআনমন্দির এবং অন্যান্য চিত্তাকর্ষক বস্তু নিয়ে। হাজার বছরের বেইহাই পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯২৫ সালে।
উদ্যানটি বর্তমানে চীনের সবচেয়ে ধ্রুপদী বাগিচাগুলোর একটি, যেখানে স্থান পেয়েছে কৃত্রিম পাহাড়, প্যাভিলিয়ন, হল, মন্দির ও ঘেরা করিডর।
গ্রীষ্মে বেইহাই উদ্যান তাপ থেকে মুক্তি ও শান্তি পাওয়ার এক আদর্শ স্থান।
বেইহাইয়ের বাই তার উচ্চতা ৪০ মিটার। বাইরের দুনিয়ায় এটি সাদা ডাগোবা (ডযরঃব উধমড়নধ) নামে পরিচিত। ডাগোবা বলতে বোঝায় বৌদ্ধধর্মীয় স্তূপ ঘরানার স্থাপত্যবিশেষকে। ১৬৭৯ সালের ভূমিকম্পে বাই তা ধ্বংস হয়। পরের বছর এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৬ সালে এটি নতুন করে তৈরি করা হয়। বাই তার শরীর বা ঘেরা দেয়াল শ্বেতপাথরের তৈরি। এর বুরুজে খচিত আছে সূর্য, চাঁদ ও আগুন। বেইহাই উদ্যানের সবকিছু শুধু আকর্ষণীয়ই নয়, সম্ভ্রম-জাগানিয়াও বটে। এখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বেশ।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট

 


আরো সংবাদ



premium cement