০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আট.

 

‘ঠিক আছে,’ রেজার হাত থেকে দস্তানাটা নিলো সুজা। চেঁচিয়ে মিনাফুপুকে ‘গুডবাই’ বলে পাখিটাকে নিয়ে ড্রাইভওয়ের দিকে রওনা হয়ে গেল।

হঠাৎ বাড়ির কোণ ঘুরে বেরিয়ে এলো একজন লোক। মুখে লাল আর সাদায় মিশানো রুমাল বাঁধা। মাথার ফেল্ট হ্যাটটা কপালের ওপর টেনে নামানো। সোজা দৌড়ে এসে সুজার গায়ের ওপর পড়ল।

চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরে মুক্ত হাতটা দিয়ে ঘুসি চালাল সুজা। কিন্তু লাগাতে পারল না, ঝট করে মাথা নিচু করে ফেলেছে লোকটা। সুজার বুকে ধাক্কা মেরে তাকে চিৎ করে ফেলল মাটিতে। বাজপাখিটাকে কেড়ে নিয়ে দৌড় দিলো ড্রাইভওয়ে ধরে।

লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল সুজা। চেঁচিয়ে রেজাকে সাবধান করে পিছু নিলো লোকটার।

 

সুজা ড্রাইভওয়েতে পৌঁছতে পৌঁছতে সিক্সথ জুলাই স্ট্রিটের প্রায় আধব্লক পার হয়ে গেছে চোরটা। দৌড়ানোর সময়ই একটা কাপড়ের থলেতে পাখিটাকে ভরে ফেলল সে। সুজাকে পিছু নিতে দেখে রাস্তার পাশের একটা পাতাবাহারের বেড়া ডিঙাল লাফ দিয়ে। তারপর দুটো বাড়ির মাঝখানের একটা ড্রাইভওয়ে ধরে ছুটল।

সুজাও গিয়ে ড্রাইভওয়েতে উঠল। জানালা দিয়ে লোকটাকে দেখে তীক্ষè চিৎকার করে উঠল এক মহিলা। লোকটা ভড়কে গেল। ফিরে তাকাল সুজার দিকে। কতখানি এগিয়েছে দেখল। না দেখে দৌড়াতে গিয়ে গলায় লাগল একটা কাপড় শুকানোর দড়ি। টান লাগায় তাল হারাল লোকটা। এই সুযোগে অনেকখানি কাছে পৌঁছে গেল সুজা। রাগে চেঁচিয়ে উঠল, ‘পাখিটা দাও, চোর কোথাকার!’

কয়েক পা টলতে টলতে এগোল লোকটা। সামলে নিয়ে, আবার পাতাবাহারের বেড়া লাফিয়ে ডিঙিয়ে রাস্তায় নেমে এলো। বাজপাখির থলেটা হাত থেকে ছাড়েনি।

(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement