২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ছত্রিশ.
ভুল যা করার করে ফেলেছে। ভেবে আর লাভ নেই এখন। দানবটা ওপরে উঠে এলে, লাফ দিয়ে নিচে পড়তে হবেÑ ভাবছে রেজা। তাতে পা ভাঙলে ভাঙবে। তা-ও এত সহজে ধরা দেবে না। দানবের হাতে মরার চেয়ে পা ভাঙাও ভালো।
গাছ বেয়ে তরতর করে উঠে আসছে দানবটা।
অচিরেই পৌঁছে গেল ওদের নিচের ডালটায়। রেজার ঠিক মাথার ওপরে এখন সুজা। ধরার জন্য হাত বাড়াল দানবটা।
এত ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, একটা নিভতে না নিভতেই আরেকটা জ্বলে উঠছে, মুহূর্তের জন্যও অন্ধকার হতে পারছে না। সেই আলোয় হিরণ কুমারকে দেখতে পাচ্ছে ওরা। তার মানে সে-ও দেখছে ওদেরকে।
কী করে ঠেকানো যায় ওই দানবকে?
মরিয়া হয়ে উঠল রেজা। কিন্তু কোনো উপায় ভেবে বের করতে পারল না।
সুজার পায়ের কাছে আঙুল চলে এসেছে দানবটার। লাথি মারার জন্য জুতো তুলল সে। এই সময় বাজ পড়ল আবার। ভাগ্যই যেন কাকতালীয় ভাবে বাঁচিয়ে দিলো ওদের। দানবটা যে ডালে রয়েছে, ঠিক তার গোড়ায় আঘাত হানল বিদ্যুৎ। মুহূর্তে ডালটা দুই টুকরো হয়ে গেল।
গর্জন করে উঠল দানবটা। ডিগবাজি খেয়ে গিয়ে পড়ল নিচের কাদার মধ্যে। পাহাড়ের খাড়া ঢাল বেয়ে কয়েক গড়ান দিয়েই অদৃশ্য হয়ে গেল। তীক্ষè একটা অমানুষিক চিৎকার ভেসে এলো অন্ধকারে। দ্রুত নিচের দিকে নেমে যেতে থাকল চিৎকারটা।
কী ঘটেছে বুঝতে পেরে শিউরে উঠল রেজা। এতক্ষণ মনে হচ্ছিল গাছে উঠে ভুল করেছে, এখন বুঝল কি বাঁচাটাই না বেঁচেছে! যেদিকে এগোচ্ছিল ওরা, সেদিকে রয়েছে পাহাড়ের খাড়া ঢাল। দেয়ালের মতো। ওরা যেভাবে এগোচ্ছিল, আর সামান্য এগোলেই দানবটার মতো ওরাও পা ফসকাত। নিচে পড়ে ভর্তা হতো। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement