২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা ২ জনকে সৌদি থেকে ফেরত আনা হয়েছে : ডিএমপি

সিটিটিসির হাতে আটক দুই ব্যক্তি - ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল দেয়ার অভিযোগে সৌদি আরব থেকে দুইজনকে ফেরত আনার কথা জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

এই দু’জন হলেন দীন ইসলাম ও কবির হোসেন। তারা যুবদলের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি পুলিশের।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো: আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল দেয়ার অভিযোগে সৌদি আরব সরকার তাদেরকে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় এবং ২৯ জানুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ইমেইলে একটি হুমকি বার্তা সম্বলিত ইমেইল আসে। এতে লেখা ছিল- ‘Prime Minister Sheikh Hasina will be shot at 4am on April 27. Bangladesh police do not have the power to prevent this attack.’

অর্থাৎ ‘২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোর ৪টায় গুলি করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষমতা নেই এই হামলা ঠেকানোর।’ ইমেইলে বডিতে একই হুমকি বার্তা লেখা ছিল বলে জানান সিটিটিসির প্রধান।

তিনি বলেন, ‘তৎক্ষণাৎ হুমকিবার্তার ভয়াবহতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃংঙ্খলার স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি বার্তামূলক ইমেইল প্রেরণকারীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়।’

‘সিটিটিসির একটি চৌকস টিম গোপনীয় অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শেষে ইমেইল বার্তা প্রেরণকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং হুমকিবার্তা প্রেরণকারী ব্যক্তির নাম দীন ইসলাম বাদল বলে নিশ্চিত হয়।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হুমকিবার্তা প্রদানকারীর ইন্টারনেট (আইপি) অ্যাকটিভিটি পর্যালোচনা করে তার অবস্থান সৌদি আরবে শনাক্ত করা হয়।’

‘গত বছরের ২০ এপ্রিল এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি ও সহযোগীদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ সদরদফতর ইন্টারপোলের মাধ্যম এবং একইসাথে ডিপ্লোমেটিক চ্যানেল ব্যবহার করা হয়।’

‘সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে ওই দুজনকে আটক করে এ বছরের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে পাঠায়। পরে বিমানবন্দর থেকে সিটিটিসি তাদেরকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা দুজন রিমান্ডে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দীন ইসলামের কাছ থেকে হুমকি প্রদানকারী ইমেইল অ্যাড্রেসটির রিকভারী মোবাইল নম্বরটিসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।’

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ‘কবির হোসেন সৌদি আরবে এক অংশের যুবদলের সভাপতি আর দীন ইসলাম ওই কমিটির নেতা।’

জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, কবিরের পরিকল্পনায় দীন ইসলাম এই মেইল পাঠিয়েছে।

কবিরের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চাঁনপুরের নয়নপুরে আর দীন ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘গত ১৬ থেকে ১৭ বছর তারা সৌদি আরব থাকছেন। কেউ চাকরি ও ব্যবসার সাথে জড়িত। বাংলাদেশে আসত না তারা।’

এই হুমকির সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই দুজনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর দেশদ্রোহী কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement