২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দরজা খোলা দেখে রক্তমাখা শিশুটি পাশের বাড়িতে ছুটে যায় : পুলিশ

- ছবি - সংগৃহীত

রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় তানিয়া আফরোজ মুক্তা (২৮) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন রুমের ফ্ল্যাটটির শোবার ঘরের খাটের ওপর পড়েছিল তার লাশ। রুমের জিনিসপত্র এলোমেলো ছিল। বাথরুমে খোলা ছিল এসি। রান্নাঘরে চুলা খোলা ছিল। চুলার ওপর তরকারি।

নিহত গৃহবধূর স্বামী বাসায় ছিলেন না। তিন বছর বয়সী মেয়ে এবং ১০ মাসের ছেলেটির শরীর রক্তমাখা ছিল।

হত্যাকাণ্ডের পর খুনী চলে গেলে দরজা খোলা পেয়ে তিন বছরের শিশুটি পাশের বাড়িতে ছুটে গিয়ে মায়ের হত্যার কথা জানায়। এরপর প্রতিবেশীরা ৯৯৯ এ কল করেন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদুল ইসলাম ঘটনার এই বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিন বছর বয়সী মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পাশের ফ্ল্যাটে দরজায় নক করে। সেখান থেকে লোকজন বের হয়ে পুলিশে খবর দেয়। আর দশ মাস বয়সী ছেলে সন্তানের অবস্থা দেখে তাকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

ওসি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তার তিন বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে এবং ১০ মাস বয়সী সন্তানকে স্কচটেপ দিয়ে মুখ পেঁচিয়ে রাখা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার গ্যাস অন করে যায়, যাতে করে ঘরে আগুন লেগে যায়। নিহতের মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়।’

পুলিশের ধারণা, এসি মেরামতের কথা বলে খুনীরা বাসায় ঢুকেছিল। তবে বাসা থেকে কী কী হারানো গিয়েছে এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত জানতে পারেনি তারা।

চার তলা ভবনের দোতলায় দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন এ গৃহবধূ। তার স্বামী মাইদুল ইসলাম ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি করেন। তিনি সেখানেই থাকেন।

ওসি মোরাদুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনার কিছু সময় আগে স্ত্রীর সাথে মাইদুলের হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, বাসায় এসি ঠিক করার জন্য লোক এসেছে। এরপর তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন।

এদিকে ঘটনার পর ছেলে শিশুটিকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মোরাদুল।

তিনি বলেন, ‘নিহতের স্বামী ফরিদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। তিনি না আসা পর্যন্ত বাসার ব্যাপারে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তিনি এসে লাশ শনাক্ত করলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাব।’


আরো সংবাদ



premium cement