চোর আতঙ্কে ভূগছেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। কয়েকটি মার্কেটে দু:সাহসিক চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রোজা ও ঈদের আগে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের কথা থাকলেও একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কোতোয়ালী থানাধীন পাইকারী কাপড়ের বৃহৎ মার্কেট ইসলামপুরের নবাববাড়ী এলাকায় পৃথক দু’টি কাপড়ের মার্কেটে গত মঙ্গলবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। হাবিবুল্লাহ প্লাজার নিউ বিশাল থ্রি পিছ সেন্টার শতরুপা থ্রি পিছ সেন্টার ও শারমিন থ্রি পিছ এর দোকানের সাটার ফাঁক করে ভিতরে প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ টাকা নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, নিউ বিশাল থ্রি পিছ সেণ্টার থেকে নগদ সাত লক্ষ টাকা এবং শতরুপা থ্রি পিছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে।
এছাড়া শারমিন থ্রি পিছের দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গেছিলো। কিন্তু সেখানে কোন টাকা ছিলো না। একই কায়দায় নবাববাড়ী জামে মসজিদের পাশে জাহান সেন্টার মার্কেটের নীচতলার আল আরাফ থ্রি পিছের দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের একজন জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো দোকানের কর্মচারীরা দোকান খোলার জন্য মার্কেটে যায়। দোকান খোলার সময় দেখতে পায় দোকানের সাটার গেটে তালা লাগানো কিন্তু সাটার ফাঁকা হয়ে আছে তখন দোকানের মালিকদের কর্মচারীরা খবর দিলে তারা ছুটে এসে দোকানের তালা খুলে দেখতে পান দোকানের ক্যাশবাক্স ভাঙ্গা। এসময় দোকানের মালিকগণ ইসলামপুর বস্ত্র সমিতি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ কে খবর দেন।
বাবুবাজার পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ এস,আই হুমায়ুন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। শতরুপা থ্রি পিছ সেন্টারের মালিক হাজী সাইফুল বলেন, প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় তিনি দোকান বন্ধ করে তারাবীহ নামাজ পড়তে যান। সকালে তিনি কর্মচারীদের কাছ শুনে দোকানে এসে দেখেন ক্যাশবাক্স ভাংগা। পুলিশ উক্ত মার্কেটের আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার ব্যাপারে নবাববাড়ী এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রুবেল, শাহীন ও সাফিক, সোহেল, খাজা গোরি, পাগলা মিন্টুসহ কয়েকজনকে সন্দেহ করছে। এই গ্রুপটি এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এদিকে, একের পর এক দোকানে এভাবে চুরির ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন, রোজার সময় পাইকারী মার্কেটের দোকানগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকার কেনা-বেচা হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মার্কেটগুলোতে কাপড় কেনার জন্য খুচরা বিক্রেতারা আসেন। এসময় মার্কেটগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দরকার। কিন্তু এভাবে চুরির ঘটনা ঘটলে ঈদ মৌসুমে তাদের কেচা-বেচা হুমকির মুখে পড়বে। ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, ঈদের আগে এভাবে একের পর এক দোকানে চুরির ঘটনা ঘটলে তাদের ব্যবসায় ভাটা পড়বে। ঈদের আগে দেশজুড়ে তাদের মালামাল চলে যায়। এসময় দুর্বৃত্তদের নিবৃত করতে না পারলে তাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হবে বলে তাদের আশঙ্কা।
এদিকে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বলছে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুস্কৃতিকারীরা অবশ্যই ধরা পড়বে বলে পুলিশ জানায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা