৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জেতা ম্যাচ হারল সাকিবের কলকাতা

জেতা ম্যাচ হারলো সাকিবের কলকাতা - ছবি- সংগৃহীত

১৮ বলে দরকার ২২ রান। হাতে পাঁচ উইকেট। ক্রিজে দুই হার্ড হিটার দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। এই ম্যাচ হেরে যাবে কলকাতা, তা ঘুনাক্ষরেই কেউ ভাবেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে।

১৮তম ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়া ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নির্ধারণ করে দিলেন। এই ওভারে তিনি দিলেন মাত্র তিন রান। ১২ বলে জয়ের সমীকরণ তখন ১৯ রান। কলকাতার ভক্তরা তাকিয়ে রাসেল ও কার্তিকের ব্যাটে। ১৯তম ওভারে বুমরাহ পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন ক্রুনালের। তিনি দিলেন মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে কলকাতার দরকার ১৫। ম্যাচ তখন অনেকটাই ঢলে পড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দিকে।

বল হাতে চমক দেখালেন মুম্বাইর কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম দু’বলে দু’টি সিঙ্গেল। পরের দু’বলে বিদায় করলেন রাসেল ও কামিন্সকে। প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে পরের দু’বলে বোল্ট দিলেন মাত্র দু’রান। ১০ রানের অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দু’ম্যাচে মুম্বাইর এটি প্রথম জয়। আর দু’টিতে কলকাতার প্রথম হার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানে অল আউট হয় মুম্বাই। দারুণ শুরু করা কলকাতার ইনিংস শেষ হয় ৪ উইকেটে ১৪৭ রানে।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা কলকাতার শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার নিতিশ রানা ও সুবমান গিল। উদ্বোধনী জুটি দলকে তুলে দেন ৭২ রান। মুম্বাইর হয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রাহুল চাহার। এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন নিতিশ রানা। ৪৭ বলে তিনি করেন সর্বোচ্চ ৫৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও দু’টি ছক্কা।

এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে কলকাতার। টপ অর্ডারের বাকি তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান চাহার। ৩৩ রানে ফেরেন সুবমান গিল। ২৪ বলের ইনিংসে তিনি হাকান পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পরও কলকাতার বল-রানের সমীকরণটা নাগালেই ছিল। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের নিদারুণ ব্যর্থতায় জয় পাওয়া হয়নি কলকাতার। তাদের কেউ ছুতে পারেননি দু’অঙ্কের ঘর। সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ৯ বলে এক বাউন্ডারিতে করেন ৯ রান। ১১ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন দিনেশ কার্তিক।

মুম্বাইর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রাহুল চাহার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। বোল্ট দু’টি, ক্রুনাল পান্ডিয়া এক উইকেট পান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে কলকাতার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বড় স্কোর গড়তে পারেনি চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৫৬ রান করেন সুরিয়া কুমার যাদব। ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন সাকিবই। মুম্বাইর হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দু’ভাই হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া করেন সমান ১৫ রান। বাকিরা ছিলেন যাওয়ার আসার মিছিলে।

বল হাতে সাকিব এদিন আলো ছড়িয়েছেন। ৪ ওভারে ২৩ রানে তিনি তুলে নেন একটি উইকেট। ইকোনমি রেট সবচেয়ে ভালো সাকিবের, ৫.৭৫। তবে দুই ওভার বল করেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার দাঁড় করাণ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে। দুই ওভারে ১৫ রানে তিনি তুলে নেন পাঁচ উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement