৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তামিমের এশিয়া কাপ শেষ

তামিম ইকবাল - সংগৃহীত

কব্জির ইনজুরির কারণে মাঠ থেকে সোজা হাসপাতালে। এবার সেখান থেকে খবর এলো, এশিয়া কাপই আর খেলতে পারছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, ওপেনার তামিম ইকবাল। তার কব্জিতে ছিড় ধরা পড়েছে। যে কারণে, তার এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলা আর সম্ভব হবে না। ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজ জানিয়েছে এ সংবাদ।

আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে এমনিতেই শঙ্কায় ছিলেন তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন কি পারবেন না তা নিয়েও ছিল সংশয়। তবে শেষ পর্যন্ত তামিমকে নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ।

কিন্তু মড়ার উপর খাঁড়ার গা- বলতে যায় বোঝায় ঠিক তাই হলো। আহত আঙ্গুল বাঁচাতে গিয়েই হয়ত বাম হাতের কব্জিতে আঘাত পেলেন তিনি। ম্যাচের শুরুতেই লাসিথ মালিঙ্গার তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই লিটন আর সাকিবের উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে। বিপদের ওপর বিপদ হয়ে দেখা দেয় পরের ওভারেই তামিমের আহত হয়ে পড়া।

সুরঙ্গা লাকমালের ওভারের শেষ বলটি কব্জি মোচড়ে খেলতে যান তামিম। তাতেই আঘাতটা পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তামিমকে নিয়ে যাওয়ায় মাঠের বাইরে এবং সেখান থেকে হাসপাতালে।

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত স্ক্যান করে দেখা হয় তামিমের কব্জির কী অবস্থা। সেখানেই দেখা গেলো, ভালো ছিড় ধরা পড়েছে। অবস্থা এতটাই নাজুক যে, চলতি এশিয়া কাপে আর খেলতেই পারবেন না তামিম। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ।

মাশরাফির দলের জন্য এটা বড় একটি ধাক্কা। এই ধাক্কা সামলে কতদূর বাংলাদেশ এগুতে পারবে সেটাই একটি বড় দেখার বিষয়। কারণ, দলে এমন কেউ নেই যে তামিমের জায়গাটা তাকে দিয়ে পূরণ করা যাবে। যদিও তামিমের ব্যাকআপ হিসেবে শেষ মুহূর্তে দেশ থেকে আরব আমিরাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুমিনুল হককে। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত রয়েছেন দলে। কে পূরণ করতে পারবেন তামিমের এই জায়গাটা?

আরো পড়ুন : মাঠে নামার ব্যাপারে আশাবাদী তামিম
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:১২

এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে ফিল্ডিং প্র্যাকটিসের সময় আঙুলে হালকা চোট পান তামিম ইকবাল। তাই তার বিষয়ে দর্শক সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা ছিলো কয়েকদিন ধরেই। তবে সেই চোট কাটিয়ে আজকের ম্যাচে মাঠে নামার বিষয়ে আশাবাদী টাইগার ওপেনার।

ভিসা জটিলতার কারণে দলের সাথে উড়াল দিতে পারেননি দুবাইয়ে। দল দেশ ছাড়ার চারদিন পর যেতে হয়েছে তাকে। সেখানে যোগ দিয়েই দলের সাথে দুদিন অনুশীলন করেছেন তামিম ইকবাল। দেশ ছাড়া আগে ঢাকায়ও অনুশীলন করেছেন তিনি। তাই তো শনিবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামতে তিনি আশাবাদী।


শুক্রবার তামিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আশা করি প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবো। এখনও আঙুলে কিছুটা ব্যথা আছে। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় সতর্ক থাকলে খেলতে কোনও সমস্যা হবে না। ’

এদিকে টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, তামিম ইকবাল মাঠে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত। অধিনায়ক নিজেও আশাবাদী জানিয়ে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহুর্তে নেতিবাচক কিছু ভাবছি না। ইনজুরি আক্রান্ত সবাই খেলতে প্রস্তুত। তামিমও প্রস্তুত। ম্যাচের আগে আমরা আমাদের একাদশ চূড়ান্ত করব।’

বুধবার দুবাই পৌছে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন তামিম। বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুশীলন করে দেশসেরা ওপেনার বুঝতে পারছেন আঙুলের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো।

এশিয়া কাপের বর্তমান রানার্স-আপ বাংলাদেশের সামনে শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মাশরাফির দলের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল আফগানিস্তান। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে ভারত, পাকিস্তান ও হংকং।

আরো পড়ুন: শিরোপায় চোখ মাশরাফির!
শনিবার শুরু হচ্ছে এশিয়ার ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ। আসরের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে দুইবারের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন, এশিয়া কাপে এবার পারবে তো বাংলাদেশ? নাকি স্বপ্নটা অধরাই থেকে যাবে। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হলেও এশিয়া কাপের প্রথম আসর খেলে বাংলাদেশ পরের বার ১৯৮৬ সালে; কিন্তু একবারও পারেনি শিরোপার মুখ দেখতে।

সর্বশেষ দু’টি আসর হয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে আসরেও শিরোপাশূন্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এবারের আসরে প্রতিযোগিতা আরো বেশি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বড় ব্যবধানে হেরেও প্রেস্টিজ ইস্যুতে পরা ভারতের সঙ্গে হাতুরাসিংহের শ্রীলঙ্কা ও নতুন শক্তি আফগানিস্তান। এদের সঙ্গে তাহলে কী করবে বাংলাদেশ? 


ওয়ানডেতে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১-এ জিতলেও যে ম্যাচটি হেরেছে সেটা ছিল তীরে এসে তরী ডোবার মতো অবস্থায় থাকা ম্যাচ। ফলে আত্মবিশ্বাসটা বেশিই টিম বাংলাদেশের। কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে। সব মিলিয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে শিরোপার আশা করতেই পারে। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে  ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘গত তিন আসরের দুটোতেই আমরা ফাইনাল খেলেছি। ফলে এশিয়া কাপে আমাদের বেশ কিছু ভালো স্মৃতি হয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী দল এখন বাংলাদেশ। এশিয়ার র‌্যাংকিং হিসেবেও যদি দেখেন তাতে আমরা তৃতীয় স্থানে রয়েছি। তাই এসব সুখস্মৃতি ও অর্জন এ আসরে ভালো খেলতে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

বাংলাদেশের সাফল্য নির্ভর করছে মূলত দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর। অধিনায়ক মাশরাফি ছাড়াও সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যে দিন ভালো করবেন দলও সাফল্য পাবে। বিগত বেশ কিছু সাফল্যের পেছনে এদের অবদান অনেক। বাংলাদেশের এমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের হিসাব কষলে অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে টিম বাংলাদেশই। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে এবার যোগ দেবেন লিটন কুমার দাস। লিটনের ওপর অনেক আস্থা। দুবাইয়ের ব্যাটিং ট্রাকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করবেন এ ওপেনার এটাই প্রত্যাশা।

তামিম তো নিয়মিতই ভালো খেলে আসছেন। যার প্রমাণ তিনি সর্বশেষ আসরেও দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তিনিই ছিলেন সিরিজ সেরা ক্রিকেটার। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো দিক ওয়ান ডাউনে সাকিব। চমৎকার মানিয়ে নিয়েছেন এ ক্রিকেটার। তামিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ খেলছেন তিনি। এরপর মিডল অর্ডারে মুশফিক, রিয়াদরাও দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন।

কোচ স্টিভ রোডসের এটা দ্বিতীয় সিরিজ হলেও এরই মধ্যে তিনি দলকে অনেকাংশে গুছিয়ে এনেছেন। ব্যাটিং পরামর্শক নেইল ম্যাকেঞ্জিকে পেয়ে ছোটখাট সমস্যাগুলো ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠার কথা ব্যাটসম্যানদের। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটা এখন বেশ গোছানোও। এর সঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশের পেস অ্যাটাকে মাশরাফি অতুলনীয়। অভিজ্ঞতাও পারফরম্যান্সে সেরা এখন তিনি। তার সাথে রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজ মিলে যেকোনো ব্যাটিং লাইনের জন্য হুমকি। 

এ ছাড়া ভারতীয় সাবেক স্পিনার সুনীল যোশিও তার স্পিন ডিপার্টমেন্টকে আরো ধারাল করেছেন। কারণ দুবাইয়ে স্পিনাররও সহায়তা পেয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। তা ছাড়া শনিবারের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে বেশ চেনা!

সম্প্রতি দুই দল বেশ ক’বার মুখোমুখি হয়েছে। এতে একে অপরের দুর্বলতাগুলো বেশ ভালোই জানেন তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয় সেটি লঙ্কান কোচ হাতুরাসিংহে। বাংলাদেশ দলের দুর্বলতাগুলো তার বেশ ভালোই জানা। বাংলাদেশও এটি জানে। সব মিলিয়ে নিজেদের সবটুকু দিতে পারলে আগামীকাল ভালো একটা ম্যাচ উপহার দেবে মাশরাফিরা।

তা ছাড়া গ্রুপ পর্বে জিতে দ্বিতীয় পর্বে যেতে এই ম্যাচেরও গুরুত্ব অনেক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলে আফগানদের মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে মাশরাফি সেটি জানানও দিয়েছেন। ফলে প্রথম ম্যাচেই জয় নিয়ে এগিয়ে থাকতে চায় এটাই এখন টিম বাংলাদেশের প্লান।

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। জয়ের পাল্লায় এগিয়ে লঙ্কানরা। ৩৬টি ম্যাচ জিতেছে তারা। বাংলাদেশের জয় ৬টি। দু’টি ম্যাচের রেজাল্ট হয়নি। দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ। হেরেছিল তারা তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে বেশ বড় ব্যবধানেই। এ দিকটা চিন্তা করলে কিছুটা অ্যাডভান্টেজে শ্রীলঙ্কা। তবে দুর্বলতা তাদেরও আছে। ইনজুরির জন্য বেশ ক’জন নিয়মিত ক্রিকেটারকে রেখেই খেলতে হচ্ছে আজ তাদের। সুযোগটা নেয়ার চেষ্টা করবে মাশরাফিরা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

 


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’ ‘আনারসের পাতা থেকে সিল্কের জামদানি শাড়ি আশার আলো জাগাবে’ গাজীপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বেঁকে গেছে রেললাইন, ঢালা হলো পানি সিলেটে বহুতল ভবন থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু

সকল