ফাইভ জি চালুর দিকে একধাপ এগিয়ে গেল দেশের তিন মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক; যদিও অনুমোদন পায়নি বাংলালিংক। গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিন অপারেটরকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি ফাইভ জি এর একীভূত (ইউনিফাইড) লাইসেন্স দেওয়া হয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একীভূত বা ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর ফাইভ জি বা এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তির তারবিহীন সেবা দিতে আর কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি এই লাইসেন্সের আওতায় অপারেটরগুলোকে পৃথকভাবে টুজি, থ্রিজি, ফোর জি বা ফাইভ জির লাইসেন্স নিতে হবে না।
একীভূত লাইসেন্সে ফাইভজির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল ফাইবারের’ পাশাপাশি ‘পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, ‘রোল আউট’ বাধ্যবাধকতা ও নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের প্রধান সম্মেলনকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একীভূত লাইসেন্স দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত টেলিযোগাযোগ খাতে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, টেলিকম খাতে যত পরিবর্তন ও উন্নয়ন তা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে হয়েছে। বিটিআরসির সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ কোটি মোবাইল গ্রাহক এবং প্রায় ১৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে। এ লাইসেন্সের আওতায় বহুমাত্রিক সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকায় অপারেটরগুলো তাদের বিনিয়োগের সুফল পাবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা