২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কী কারণে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

-

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি দেওয়ার পর তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে নতুন করে আলোচেনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাইডেন বলেছেন, টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশটি সে দেশেরই কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি করে না দেয়, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এটিকে নিষিদ্ধ করবেন।
২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী টিকটক ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে টিকটকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি, যার মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এটির উত্থানের সঙ্গে বিতর্কও বেড়েছে। বলা হয়ে থাকে, অ্যাপটি ব্যাপকভাবে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেগুলো চীন সরকারের কাছে পাচার করে। যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বাইটড্যান্স যেহেতু চীনা কোম্পানি, তাই চীনের আইন অনুসারেই কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কোম্পানিটি যেকোনো তথ্য সরকারকে দিতে বাধ্য। এটিই মূল উদ্বেগের বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের প্রধান কলকাঠি নাড়ছেন মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা। তারা মনে করছেন বাইটড্যান্স ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং হিস্ট্রি ট্র্যাক করার মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়াতে সহায়তা করতে পারে।
ম্যাককল বলেন, ‘কোনো ব্যবহারকারী তার ফোনে টিকটক ডাউনলোড করেছেন মানে হলো তিনি চীন সরকারের কাছে তার ব্যক্তিগত তথ্য পাচার করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা হচ্ছে গ্রাহকের ফোনের স্পাই বেলুন।’
টিকটক অবশ্য সব সময়ই গ্রাহকের তথ্য চুরি বা পাচারের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যদি জাতীয় নিরাপত্তাই মুখ্য হয়, তাহলে টিকটকের একটি অংশ বিক্রিতে বাধ্য করার মাধ্যমে সেটি সমাধান হবে না। মালিকানা পরিবর্তন হলেই তথ্যের প্রবাহে বা প্রবেশাধিকারে কোনো নতুন বিধিনিষেধ আসবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যে সেই দেশের নিরাপত্তা সিস্টেম ব্যবহার করা, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করা- যা ইতোমধ্যে আমরা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement