২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় স্থানীয়দের ক্ষোভ

গাজীপুর নগরীতে খাল দখল করে কোম্পানির প্রাচীর নির্মাণ

-

গাজীপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ একটি খল বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নগরীর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী ওই খালের একটি অংশ দখল করে সুদৃঢ় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করছে উড়োজাহাজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। গাজীপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করেই নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে ওই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর গাছা অঞ্চলের জয় বাংলা সড়কের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বগারটেক সংলগ্ন হায়দরাবাদ ব্রিজের অংশসহ উত্তর পাশের নিচু জমি ইতোমধ্যে বালু ফেলে ভরাট করে সড়ক সমান সমতল করে ফেলেছে কোম্পানিটি। স্থানীয় হায়দরাবাদ মৌজায় অবস্থিত কোম্পানির ওই জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে খালটি প্রবাহিত। কোম্পানির লোকজন খালের একাংশে মাটি ও বালু ফেলে তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে একীভূত করে ফেলেছে। বর্তমানে সেখানে খালের নিচ থেকে পাইলিং করে সীমানা প্রাচীর দেয়া হচ্ছে। এতে খালটি ব্রিজের প্রবেশমুখে সঙ্কোচিত হয়ে পড়ছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) কর্তৃপক্ষ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ওই খালসহ নগরীর পাঁচটি প্রধান খাল পুনঃখননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। গাসিক কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগেই কোম্পানিটি তড়িঘড়ি করে ওই খালের একাংশ দখল করে সুদৃঢ় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকাবাসী ও ভূমি অফিসের আপত্তি উপেক্ষা করে সীমানা চিহ্নিতকরণ ছাড়াই কোম্পানিটি এ দখলযজ্ঞ শুরু করে। এতে খালটি সঙ্কোচিত হয়ে ব্রিজের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে যেকোনো সময় ভারী বর্ষণে সেখানে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নগরীতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাই যেকোনো মূল্যে খালটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির কেয়ারটেকার লুৎফুল কবির বলেন, আমরা কোম্পানি মালিকের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারব না। মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। খাল দখল প্রসঙ্গে আবারো জিজ্ঞাসা করা হলে লুৎফুল কবির বলেন, আমনা শুনেছি আমাদের মালিক যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন তারাই খালের ওই অংশসহ জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: মাসুদুল হাসান বিল্লাল বলেন, আমরা খালের সীমানা চিহ্নিতকরণ ছাড়া কোম্পানির লোকজনকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলেছি। আমরা খালটির সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে সেখানে আমাদের কাজ চলছে।
গাজীপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, আরো ১০ দিন আগেই ওই কোম্পানিকে খালের নির্মাণকাজ করতে নিষেধ করেছি। এর পরও তারা নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement