০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

-


রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ন কবীর। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া লাশ গুমের দায়ে তাদের আরো সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো পাঁচ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত।

আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারা সন্দেহ করেন, বাদল মিয়া থানা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেফতার করিয়েছেন।

এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাদল মিয়াকে আসামিরা তার কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্বর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। লাশ গোপন করতে টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের রোডে ফেলে যায়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement