নোয়াখালীতে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় রোগীর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনেরা।
মঙ্গলবার নোয়াখালীর ১২০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদা আক্তার (৪২) সদর উপজেলার ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের নুর মো: সুজনের স্ত্রী। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা গেছে।
কোভিড হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই ওই নারী করোনা পজেটিভ হয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে নোয়াখালীর কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা: নিরুপম দাস রোগীর স্বজনদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অক্সিজেনের কোনো অভাব ছিল না। এ সময় নিহতের স¦জনেরা উত্তেজিত হয়ে আইসিইউতে থাকা ভেন্টিলেটর মেশিনসহ পাঁচ-ছয়টি মেশিন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতকে স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, আইসিইউ মেশিন ভাঙচুরের কারণে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে করোনায় গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগীকে আইসিইউ সেবা সহজে দেয়া সম্ভব হবে না।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাহেদ উদ্দিন জানান, করোনা হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগে হাসপাতালে ভাঙচুরকারীরা লাশ নিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুম ইফতেখার জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তবে রোগীর মৃত্যু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের কোনো অভাব ছিল না বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো জানান, আগে থেকেই এ রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। অক্সিজেনের অভাব থাকলে একজন রোগী মারা যেত না। তাহলে বেশ কয়েকজন রোগী মারা যেত বলেও মন্তব্য করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা