০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় চার্জ শুনানি শুরু

-

ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী চার্জ শুনানি শুরু করেন। চার্জ শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা: হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন ও হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ানকে পক্ষে অত্র মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য নিবেদন করেন। আসামি মারুফ রেজার পক্ষে তার আইনজীবী চার্জ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বাকি শুনানির জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা: হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।
গত ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে এক হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুন নিসা নূন স্কুলে মেয়েকে আনতে যান। বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় সে দিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক। সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় সাতজনের। সাক্ষীতে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মারুফ রেজা। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সাথে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একই সাথে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। একই বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইকে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তদন্তের জন্য আরো ৬০ দিনের সময় দেন। এরপর পিবিআই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। চারজনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক আদালতে জবানবন্দী দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল