চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচিত পঞ্চম পরিষদকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে রেখে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষা পূরণে একটি অভিন্ন ও একান্নবর্তী পরিবারে পরিণত করে অর্জন ও সফলতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। পঞ্চম পরিষদের মেয়াদকালে সিটি করপোরেশনের ৩১ বছরের পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিক সন্তুষ্টির পরিবেশ তৈরি হওয়ায় কাজের গতিশীলতা ও উদ্দীপনা প্রাণবন্ত রূপ পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা পরিহার করে পরার্থপর মনোবৃত্তিই সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ব্যক্তিক চাওয়া-পাওয়ার হিসেব বাদ দিয়ে সমাজকে কী দিলাম এবং কতটুকু সামর্থ্য উজাড় করে সামষ্টিক মঙ্গল ও কল্যাণ করতে পারি সেটাই হলো ক্ষমতা ও যোগ্যতার প্রধান মাপকাঠি।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর থিয়েটোর ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে চসিক পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ পূর্তিতে মেয়র ও কাউন্সিলর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোট জনবল সাড়ে ৯ হাজারের কাছাকাছি। তবে এত দিন জনবলের প্রবিধান ও টেকসই অর্গানোগ্রাম ছিল না। এমনকি গ্রেডেশন তালিকাও ছিল না। তাই পদায়ন ও পদোন্নতি ঝুলে থাকত। অনেকে ২৭-২৮ বছর একটানা চাকরি করেও বেতনভাতা ছাড়া কোনো বেনিফিট পাননি এবং চোখের পানি ফেলে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। চাকরির ভিত্তি ছিল দুর্বল। এখন সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সময়োপযোগী অর্গানোগ্রাম তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং অবশ্যই তা অনুমোদিত হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, পঞ্চম পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও অন্যান্য ভাতা বাবদ প্রদান করা হতো ৯ কোটি টাকা। বর্তমানে তা ১৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। মেয়র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত প্রশাসককে অভিনন্দন জানিয়ে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান এবং নগরবাসীকেও সহযোগিতার আহ্বান জানান। পরে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা