০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঈদে ঘরবন্দী মানুষের ভার্চুয়াল বিনোদন

-

এবারের ঈদের বিনোদন ছিল একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এই দিন ঘরে বসেই ভার্চুয়াল ঈদ বিনোদন খুঁজেছেন ঘরবন্দী মানুষ। কারণ সিনেমা হলে ছিল তালা, মঞ্চে জ্বলেনি আলো, বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল লকডাউন। এসব কারণে ঘরবন্দী মানুষের বিনোদন বলতে ছিল টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সাথে শুভেচ্ছাবিনিময় করা। অন্য দিকে বাইরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল জনশূন্য।
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব রকম শুটিং। যার ফলে কোনো চ্যানেলে এবার ঈদের জন্য নতুন নাটক, নতুন সিনেমা বা বিনোদনমূলক কোনো অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। সব ক’টি চ্যানেলে পুরনো নাটক, পুরনো সিনেমা ও পুরনো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ায় দর্শকরা বিকল্প হিসেবে বেছে নেন অন্য রকম বিনোদন অনুষঙ্গ। তবে রাজধানীর হাতিরঝিল ও ধানমণ্ডি লেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাতেগোনা কিছু দর্শনার্থী দেখা যায়। এর বাইরে ঈদ বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাদুঘর, শিশুপার্ক ছিল বন্ধ। গত ২৬ মার্চ থেকেই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারছেন না দর্শনার্থীরা।
এ দিকে দেশে থিম পার্ক খ্যাত সাভারের ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্কে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া কারো উপস্থিতি চোখে পড়েনি। যেখানে প্রতি বছর ঈদকে ঘিরে ছিল উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু, সেখানে এবার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া তেমন কাউকে চোখে পড়েনি। এসব বিনোদন কেন্দ্রে কর্মরত কর্মচারীদের জীবন যাত্রায় ফুটে উঠেছে অসহায়ত্ব। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রতি বছর ঈদসহ বিশেষ দিনগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবার স্মৃতিসৌধ ছিল জনশূন্য।
এ দিকে সড়কে বের হওয়া সাধারণ মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রবণতা অনেকটাই কম ছিল। রিকশায় ও মোটরসাইকেলে তরুণ-তরুণীদের ঘুরতে দেখা যায়।
কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা প্রতি বছর ঈদে হাজারো পর্যটকে মুখর থাকে। এবার সেগুলোও ছিল পর্যটকশূন্য। সুনসান নীরবতা ছিল কক্সবাজার, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে। পর্যটকশূন্য ছিল সাজেক ভ্যালি ও কাপ্তাই লেক।


আরো সংবাদ



premium cement