০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গ্রেফতারের পর জামিন নিয়ে আত্মগোপনে ৫ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি

-

একটি দু’টি নয়, পাঁচটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি। আরো তিনটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু আদালত থেকে জামিন নিয়ে আবারো আত্মগোপন করেছে আসামি।
ওই আসামির নাম সৈয়দ মনসুরুল হক আজাদ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গত বুধবার আদালতে পাঠিয়ে দিলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু গত রোববার সে এক মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে ওই দিনই আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও মামলার বাদিরা থানা পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তাজমহল রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সৈয়দ মনসুরুল হক আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। সে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার পাঁচটি সিআর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং অপর তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে সবগুলো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের জিআরোর কাছে পাঠানো হয়। এরপর কিভাবে সে জামিনে বেরিয়ে গেল তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, আসামিকে কোর্টে সোপর্দ করার পর সেখান থেকে যে যে কোর্টের পরোয়ানাভুক্ত আসামি সেসব কোর্টকে বিষয়টি জানানোর দায়িত্ব কোর্ট জিআরোর।
এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট ইমরান আলী জানান, সৈয়দ মনসুরুল হক আজাদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে সে পলাতক থাকে। আসামির বর্তমান আবাসস্থল মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় হওয়ায় সাজাপ্রাপ্ত পাঁচটি মামলার পরোয়ানাসহ মোট আটটি মামলার ওয়ারেন্ট ওই থানায় পাঠানো হয়। আসামিকে গ্রেফতার করার পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়। কিন্তু অন্য কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখানোয় এক মামলায় জামিন পেয়ে সে আত্মগোপনে চলে গেছে। তিনি বলেন, গত রোববার এক মামলায় ওই আসামির জামিন হওয়ায় বিকেলে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর ওই দিন বিকেলে ওই থানার এক কনস্টেবল বাকি মামলার কাগজপত্র নিয়ে আদালতে আসেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক। যদি সবগুলো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো তাহলে সে কারাগার থেকে বের হতে পারত না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ৩১/সি নম্বর বাড়ি থেকে সৈয়দ মনসুরুল হক আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হলে তাকে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে রোববার তিনি এক মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামি সৈয়দ মনসুরুল হক আজাদের বাবার নাম সৈয়দ হাবিবুল হক। তাজমহল রোডের ৩১/সি, নম্বর বাসায় সপরিবারে বসবাস করে। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাশিয়ানির মালা গ্রামে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল