০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আশুগঞ্জে নৌ-বন্দর পুনর্বাসনসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি

আশুগঞ্জে নৌ-বন্দর পুনর্বাসনসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে ভিটি মালিক-ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের পুনর্বাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানর অবকাঠামার সময়োপযোগী ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের নাম সংযোজন-সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করেছে আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ঘাট-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এ সময় নদীবন্দরে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখে তারা।

শনিবার সকাল ১০টায় আশুগঞ্জ নদীবন্দর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে আলাচনার মাধ্যমে তাদের দাবি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুনর্বাসন মার্কেট এলাকায় প্রস্তাবিত আশুগঞ্জ নদীবন্দর নির্মিতব্য আধুনিক কার্গো টার্মিনাল প্রকল্পের চলমান সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার সারাদেশের নৌ-পথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। আশুগঞ্জ নদীবন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ-আঞ্চলিক নৌ-পরিবহন গতিশীল করতে বিআইডব্লিউটিএ-এর তত্ত্বাবধানে ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট-১-এর আওতায় প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক কার্গো টার্মিনাল বাস্তবায়নের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নদীবন্দরের বর্তমান স্টিল জেটির পূর্ব-উত্তর পাশে প্রায় পাঁচ একরের বেশি ভূমি বেছে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চার একরে রয়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন মার্কেট।

ব্যবসায়ীরা জানায়, এখানে ১৭০টি স্থায়ী দোকান ও ৬০০ অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আরো বেশ কিছু দোকান রয়েছে। এ মার্কেটকে ঘিরে অন্তত চার হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের জীবন-জীবিকা চলে।

তারা জানায়, ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ-এর তত্ত্বাবধানে এনভারমেন্ট কোয়ালিটি মেজারমেন্ট সার্ভিস (ইকিউএমএস) নামক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসব মার্কেটের ভিটি মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের তালিকা তৈরি ও ক্ষতিপূরণের সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবসহ অন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে ‘ক্ষতিপূরণ নির্দশিকা’। তবে এ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই কম, তালিকাও ত্রুটিপূর্ণ। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা নেই। তাই তারা এসব কর্মসূচি পালন করছে। তারা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক মো: আলমগীর হোসেন বিশ্বব্যাংকের ক্ষতিপূরণ নির্দেশনা অনুসারে সব করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সমাবেশের কথা জেনেছি। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হবে।’

সমাবেশে আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো: রফিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হানিফ মুন্সি, পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা সাইদুর রহমান ও জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement