২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনবাগে নৌকার ভরাডুবি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কার

নৌকার ভরাডুবি-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়-ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন
- ছবি : নয়া দিগন্ত

নজিরবিহীন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নের ১টি ছাড়া (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) সবগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো সেনবাগ পৌরসভা ও ১ নম্বর ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আবু জাফর টিপুকে ৯১৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী সেনবাগ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবু নাছের দুলাল।
তিনি পৌর সভার ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতে প্রথম হয়ে মোট ৫৮৫২ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার বিপরীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পর পর দু’বারের নির্বাচিত পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ৪৯৩৪ ভোট।

ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ নম্বর ছাতারপাতাইয়া ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ৬০৬৫ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ বার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম পেয়েছেন ৪৩৯৮ ভোট, আর আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সোহরাব হোসেন সুমন পেয়েছেন ২৬০৪ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাহমুদুল হাসান হাতপাখা নিয়ে পেয়েছেন ৯০৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়ের মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫২ ভোট, ও মোখলেসুর রহমান টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২২ ভোট।

৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শওকত হোসেন কানন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

৪ নম্বর কাদরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জনই আওয়ামী লীগের। এখানে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান
নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া। তিনি পেয়েছেন ৬১৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (আ’লীগ) প্রার্থী জহিরুল আলম চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮০৫ ভোট। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পলাশ পেয়েছেন ২০৪৮ ভোট।

৬ নম্বর কাবিলপুর ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাহার ৮২২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৪০৬ ভোট।

৮ নম্বর বীজবাগ ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ’লীগ) সেলিম উদ্দিন কাজল ৫৪৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আলমগীর পেয়েছেন ২৭৮২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) হারুনুর রশিদ টেলিফোন মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২৬৫২ ভোট, তার স্ত্রী চশমা প্রতীকে ৭৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাকের পাটির সাহাব উদ্দিন গোলাপ ফুল মার্কা নিয়ে ২৩৭ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯ ভোট।

প্রসঙ্গত, অন্য একটি ইউনিয়ন ৯ নম্বর নবীপুর ইউপির নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।


আরো সংবাদ



premium cement