১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


কাদের মির্জা সমর্থকদের সাথে অপর গ্রুপের ফের সংঘর্ষ-হামলা-ভাঙচুর

কাদের মির্জা সমর্থকদের সাথে অপর গ্রুপের ফের সংঘর্ষ - ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ফের সংঘর্ষ ও বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। সোমবার রাতে পৌরসভার করালিয়ায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় একটি হাসপাতাল ও পরে বাসাবাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় বসুরহাট পৌরভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জার শতাধিক সমর্থকদের বের করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ রাহিম (২৭), ছাত্রলীগ নেতা করিম উদ্দিন শাকিল (২৩), রাকিব (২৭) এবং কাদের মির্জার অনুসারী রাসেল (৩২) ও ইউসুফ (৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জের ধরে আগের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও হতাহতের পর সোমবার সন্ধ্যায় কাদের মির্জার অনুসারী রাসেল উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি অনুসারী শাকিল ও রহিমের চক্ষু হাসপাতালে হামলা চালায়। এ সময় রহিম ও শাকিল প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী ও কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন, হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষ শেষে কাদের মির্জার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগকর্মী শাকিলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।

এ বিষয়ে কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারবেন না। পরে কথা বলবেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, দলীয় কোন্দলের জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। কাদের মির্জার অনুসারী রাসেলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ দিকে সংঘর্ষের পর কাদের মির্জার শতাধিক অনুসারীকে বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে বের করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কাদের মির্জার মধ্যে ধারাবাহিক দ্বন্দ্বকে পুজি করে দীর্ঘ দিন কাদের মির্জার শতাধিক অনুসারী পৌর ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন। ফের পৌরসভার করালিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হলে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে পৌরভবনে বহিরাগতদের ভিড় আরো ভাড়তে থাকে।

সোমবার রাতে একপর্যায়ে প্রশাসনের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌরভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কাদের মির্জার অনুসারীদের পৌরভবন ছাড়তে পাঁচ মিনিটের সময় নির্ধারণ করে দিয়ে মাইকিং করে। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌর ভবন ছাড়তে বাধ্য হন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: শামীম কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো: ফারুক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো: রবিউল হক।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জিয়াউল হক মীর জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনাকালীন সময়ে শতাধিক বহিরাগত ব্যক্তি একসাথে পৌরভবনে অবস্থান করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে একাধিকবার কোম্পানিগঞ্জে বিবাদমান দু'গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবদিকসহ দু'জন নিহত ও বহু আহত হন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা তদন্তাধীন। এ দিকে হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে অভিমান করে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশীর লাশ হস্তান্তর কালীগঞ্জে আম পাড়তে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু ‘নুসুক’ কার্ডধারী ছাড়া অন্য কারো মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ বোলারদের নৈপুণ্যে কষ্টার্জিত জয় বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ইসলামের সঠিক দাওয়াত পৌঁছাতে হবে : মোবারক হোসাইন নাঙ্গলকোটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা তরুণীর অনশন, পলাতক প্রেমিক চার উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের বরিশাল অঞ্চল জামায়াতের উপজেলা আমির সম্মেলন অনুষ্ঠিত তারা আহম্মকের স্বর্গে বাস করেন : শাহজাহান খান অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পহেলা বৈশাখ আমাদের মূল চালিকাশক্তি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাণীনগরে নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু

সকল