২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পচা নাড়ার ঘরে বসবাস বৃদ্ধা আয়েশা বিবির

- ছবি - নয়া দিগন্ত

পচনধরা নাড়া উপরে পলিথিনি মোড়ানো দোচালা কাচা ঘর। ঘরটির সামনের অংশে কোনো রকম কাঠের বেড়া থাকলেও পেছন অংশে সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে সাঁটানো। বৃষ্টি কিংবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলেই ঘরটি ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘরেই বসবাস করছেন বৃদ্ধা আয়শা বিবি (৭০)। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের হরিদ্রাখালী গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

আয়েশা বিবির সংসারের কর্তা মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল। এরপর থেকেই শুরু হয় সংসারে টানাপোড়ন। দুই মেয়ে আর এক ছেলে থাকলেও কেউ খোঁজ নেন না। পাশের বাড়িতে গৃহস্থলি কাজে সহায়তা করে ডাল-ভাত খেয়ে কোনো রকম জীবন যাপন করছেন তিনি। এত টানাপোড়নের পড়েও নিরুপায় হয়ে একটি ঘরের জন্য ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। সবাই শুনেছেন জীবনের করুণ চিত্র। কিন্তু দু’হাত ভরে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ। অথচ এ উপজেলায় সরকারের দেয়া বিনামূল্যের ঘর পেয়েছেন প্রায় দুই হাজার অসচ্ছ্বল মানুষ। সে সময়েও বৃদ্ধা আয়েশা নজরে পড়েনি কারো। আক্ষেপ নিয়ে তিনি জানান, সরকারি ঘরের জন্য টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারিনি। তাই ভাগ্য অনুকূলে আসেনি।

সরেজমিনে কথা হয় আয়শা বিবির প্রতিবেশীদের সাথে। তারাও একই কথার সাথে সুর মিলিয়ে বললেন, যারা টাকা দিয়েছে তারা সরকারি ঘর পেয়েছে। অথচ বয়স্ক এই মানুষ ঘর, কাপড় ও খাবারের জন্য প্রতিনিয়ত কষ্ট করে থাকে। আমরা প্রতিবেশীরা যখন যা পারি তাকে দিয়ে টেনে রাখি। কিন্তু তিনি লোকলজ্জার ভয়ে অনেক সময় না খেয়েই দিনপার করেন। ছেলে-মেয়ে থাকলেও তারা খোঁজ নেন না। স্বামীর যে ভিটে রয়েছে সেখানে ছাপড়া দিয়েই বসবাস করছে। তার এমন কষ্ট আমাদেরও ব্যথিত করে। বৃদ্ধার পাশে খুঁটি হয়ে সহায়তা নিয়ে কেউ একজন আসুক এমনটি প্রত্যাশা তাদের।

অশ্রুঝরা নয়নে বৃদ্ধা আয়শা বলেন, ‘কেমনে ঘর তুলব বাবা? মানুষের বাড়ি কাজ করে খাই। বৃষ্টি নামলে ঘরে থাকা যায় না। ঘরের আসবাবপত্র অন্যের বাড়িতে রাখছি। অনেক সময় মানুষের বাড়িতে ঘুমাই। ঘরের জন্য নাম নেছে। দুইবার কইরা কাগজপত্র সব জমা দিছি ইউনিয়ন পরিষদে। কিন্তু ঘর পাই নাই। টাকা চায় হেরা। আমার জন্য একটা ঘর ব্যবস্থা কইরা দিলে ভালো হয়। মরার আগে ভালো একটা ঘরে ঘুমাইতে চাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আপাতত ঘর সংস্কারের জন্য টিন ও নগদ টাকা দিবো। এরপরে সরকারি ঘর এলে তাকে দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনেরর মৃত্যু স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুমজা ইউসুফের পদত্যাগ মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ

সকল