১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঝালকাঠিতে অবৈধ জাল অপসারণে নদীতে কম্বিং অপারেশন

ঝালকাঠিতে অবৈধ জাল অপসারণে নদীতে কম্বিং অপারেশন - ছবি : নয়া দিগন্ত

জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা সফল করতে দ্বিতীয় ধাপের সপ্তম দিনে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালিয়েছে ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার জেলার বিষখালী নদী ও বিভিন্ন খালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, অভিযানে ঝালকাঠির অংশে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহারের নেতৃত্বে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় আনুমানিক সাত হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৬টি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়।

অপরদিকে রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীতে রাজাপুর অংশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতুর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১টি নেট বাধা, ছয় হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ১০টি চড়ঘেরা জাল, ২০ হাজারবাটা মাছের পোনা ও একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

অভিযানে অবৈধ জাল ব্যবহার ও বিভিন্ন মাছের পোনা মজুদ রাখার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বাটা মাছের পোনাগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড়, রাজাপুর উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ঝালকাঠি সদর মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: জিয়া উদ্দীন, থানা পুলিশ ফোর্সের সদস্যবৃন্দ এবং দুই উপজেলার মৎস্য অধিদফতরের প্রতিনিধিরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানান, জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা সফল করার পাশাপাশি চিংড়ি পোনাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের ডিম, রেণু ও পোনার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, চট জাল, পাই জাল ও টং জাল অপসারণ করার নিমিত্তে চার ধাপে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দিনে দুই উপজেলা অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব জাল ডিসি পার্ক ও বাদুরতলা লঞ্চঘাট এলাকায় নদীর কূলে জনসম্মূখে আগুনে পুড়ে বিনষ্ট করা হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ সময় জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement