ভোলার লালমোহনে পুকুরে ধরা পরেছে বিরল প্রজাতির সাকার ফিশ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সৈনিক বাজার সংলগ্ন এলাকার মালেক কন্টেকটার বাড়ির কামালের পুকুর থেকে ২৫টি মাছ পাওয়া যায়। মালেক কন্টেকটারেরর ছেলে কামালের জালে ধরা পরে এ মাছগুলো।
গ্রামের পুকুরে এমন মাছ পাওয়ার খবরে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মাছগুলো এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, এই 'সাকার ফিশ' অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহৃত হয়। এটি পুকুর বা জলাশয়ে চাষ, উৎপাদন বা বাজারজাত করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চাষ ছাড়াই পুকুরে সাকার ফিশের দেখা মেলায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। কেউ কেউ প্রথমবার দেখলেন দৃষ্টিনন্দন মাছগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার সৈনিক বাজার এলাকার মালেক কন্টাকটার বাড়ির কামাল তার পুকুর সেচ দেন। পরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন। এ সময় অন্য মাছের সাথে তার জালে উঠে আসে 'সাকার ফিশ'। তখনি এ মাছ দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। ওই মাছ তিনি সংরক্ষণ না করে ফেলে দিয়েছেন।
পুকুরে সাকার ফিশ প্রবেশের কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলছেন, এক বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলোচ্ছাস এবং জোয়ারে এলাকার অনেক পুকুর-ডোবা এবং খাল-বিল ডুবে যায়, তখন হয়ত কোথাও থেকে এসব মাছ ভেসে এসেছে। তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন পুকুরে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, এটি বিরল প্রজাতির মাছ বলা যাবে না। এগুলো মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। অ্যাকুরিয়ামে এমন মাছ থাকে। এরা সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এগুলো চাষ, উৎপাদন বা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এসব মাছ অন্য প্রজাতির মাছের বংশবিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। এ মাছ না খাওয়াই ভালো। তবে প্রকৃতিকগতভাবে পুকুরে এই মাছ আসতে পারে বলেও ধারনা করেন তিনি।
উন্মুক্ত জলাশয়ে বা চাষের পুকুরে এ মাছের প্রজাতির মাছের প্রবেশকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছে সচেতনমহল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা