১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্ষুধার্ত নারীর ফোনে ছুটে গেলেন বামনা থানার ওসি

ক্ষুধার্ত নারীর ফোনে ছুটে গেলেন বামনা থানার ওসি - ছবি: নয়া দিগন্ত

মোবাইলে অসহায় নারীর কল পেয়ে নিজ অর্থায়ণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য নিয়ে সরাসরি অসহায় নারীর বাড়িতে ছুটে গেলেন বরগুনা জেলার বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মাসুদুজ্জামান।

পুলিশের এমন মানবিক কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে এলাবার মানুষের। মানুষ মানুষের জন্য এরই মানবতার দৃষ্টান্ত যেন স্থাপন করলেন বামনা থানা পুলিশ।

মানুষের বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম। একটু সহযোগিতার, সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুটে, একজন মানুষ ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে তাতেই হয়তো জীবনের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। করোনার এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তেমনই স্যালুনে কাজ করা মানুষটির স্ত্রীর ফোনে আর্তনাত শুণে বাসায় খাবার নিয়ে হাজির হন বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ ।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বামনা থানার ওসি এস এম মাসুদুজ্জামান, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এমন সময় পৌনে ১১টার দিকে বামনা থানার সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে একটি কল আসে।

এক মহিলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তার ঘরে কোনো খাবার নেই। তার স্বামী সেলুনের দোকান দিতেন। সরকারি নির্দেশনায় দোকান বন্ধ এ পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পার হওয়ায় ঘরের খাবার শেস হয়ে গেছে।

খাবার নিয়ে গিয়ে ওসি দেখেন মহিলা তার সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার স্বামী বাড়িতে বসে আছেন চিন্তিত অবস্থায়। ওসিকে দেখে লজ্জিত আর আনন্দিত ওই মহিলা।

ওসি আরো জানালেন, মহিলা নিত্যান্তই নিম্ন আয়ের একজন ব্যক্তির স্ত্রী। তাদের সেলনুনের দোকান বন্ধ থাকায় অর্থাভাবে রয়েছেন তারা। করোনায় কর্মব্যস্ততা থাকা সত্বেও অতি দ্রুত অনুমান দুপুর ১২টার দিকে ঐ মহিলার বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন ওসি এস এম মাসুদুজ্জামান।

এ সময় ওসি মাসুদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান কেউ যদি অনাহারে থাকে আমাকে জানাবেন, আমাকে যদি কেউ ফোন দেয় তাৎক্ষনিক আমি জাস্টিফাই করে তাদের বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দেব। মানুষের উপকার করাই পুলিশের ধর্ম, পুলিশ হচ্ছে জনগনের প্রকৃত বন্ধু।


আরো সংবাদ



premium cement