৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোনো নিয়মনীতি মানেন না বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেবি

-

নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং বাহুশক্তির প্রভাব বিস্তার করে কোন প্রকার নিয়োগ অথবা যোগদানপত্র ছাড়াই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে জেঁকে বসেছেন ফারহানা শারমিন জেবি। এরপরে কলেজজুড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন পেশীশক্তির ব্যবহার। তোয়াক্কা করেন না তিনি কোনো ধরনের আইনকানুনকে। তার সাথে মতের অমিল হলে প্রভাষকরা পড়েন রোষানলে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারহানা শারমিন জেবি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পুত্রবধূ শ্বশুর ও স্বামীর ক্ষমতার দাপটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ ভাগিয়ে নেয়ার পর নানা অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়ে দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয়রা ও দাতা সদস্য।
কারিগরি বিএম শাখার কলেজটি প্রতিষ্ঠা পায় ২০১৪ সালে। প্রতিষ্ঠাকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন নূরুল হুদা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব নেন ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম আব্দুল মান্নান হাওলাদার। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুল হুদাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন তিনি। এরপরে ২০১৭ সালে ওই পদে প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান খানকে বসানো হয়। সে সময়ে কলেজের সভাপতি এবিএম আব্দুল মান্নানের পুত্রবধূ প্রভাষক হিসেবে কাগজে-কলমে ছিলেন। তখন মোস্তাফিজুরের সাথে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির চুক্তি হয়েছিল অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী হলে পুত্রবধূ ফারহানা শারমিন জেবিকে অধ্যক্ষ এবং প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করানোর। সেসব শর্ত মেনেই দায়িত্ব নেন মোস্তাফিজুর।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালে কলেজের সভাপতি এবিএম আব্দুল মান্নান এক জরুরি সভা ডেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ থেকে মোস্তাফিজুর রহমানকে সরিয়ে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানান কলেজের প্রভাষক ফারহানা শারমিন জেবিকে। নতুন দায়িত্ব পেয়েই শুরু হয় জেবির বাহুশক্তির প্রদর্র্শন। অনভিজ্ঞতায় ঠাসা জেবি কলেজ পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২০ সালে রেজুলিউশন করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবারো স্বপদে দায়িত্ব দেন মোস্তাফিজুর রহমানকে। সেই দায়িত্ব চলমান থাকা অবস্থায় সভাপতি এবিএম আব্দুল মান্নানের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাহমুদ হাসান তার পেশিশক্তি ব্যবহার করে কলেজের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে রেজুলিউশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হস্তগত করেন। এরপরে আবারো মোস্তাফিজুরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে সেই চেয়ারে বসানো হয় জেবিকে। এরপর থেকে চলে জেবির স্বেচ্ছাচারিতা। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকারী ফারহানা শারমিন জেবির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদ্য গঠিত এডহক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি অবৈধভাবে অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েও প্রতিষ্ঠানটিতে জটিলতা রয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement