৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সালথায় ঘোষণা দিয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট

-

ফরিদপুরের সালথায় উপজেলায় ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটতরাজের পর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
গত রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের কয়েক শ’ মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীদের কাছ থেকে সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে চারজন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরের দিনে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের। এরপর ওই রাতেই একদফা হামলা চালিয়ে জুগিডাঙ্গা গ্রামের তিনজনকে আহত করা হয়। এর রেশ ধরে রোববার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু, বকুল মেম্বার, কামাল ও নুরুর নেতৃত্বে কয়েক শ’ লোক ঢাল সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুগীডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামে হামলা করে।
গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিব মোল্যা বলেন, ক্যারাম খেলা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর মঙ্গলবার (আজ) সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তারপরও ওরা আজকে আবার এ হামলা করল।
এ বিষয়ে গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, হামলার ঘটনা ঘটছে সত্যি কিন্তু এর সাথে তিনি জড়িত নন। তিনি দাবি করেন দুই পক্ষই তার সমর্থক।
সালথা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান পিপিএম বলেন, সংঘর্ষ ঠেকাব নাকি আপনাকে বক্তব্য দিব। আমি এখন বাইরে আছি।
এ বিষয়ে নগরকান্দা-সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল জানান, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে যাতে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য সদা সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement