৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চাটমোহরে গাছে গাছে লিচুর গুটি বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রচুর গুটি আসা লিচুগাছ : নয়া দিগন্ত -

পাবনার চাটমোহরে লিচুবাগানগুলোতে ব্যাপকহারে গুটি এসেছে। মাঘের শেষ সময়ে লিচুগাছে মুকুল আসতে শুরু করে। এবার মৌসুমের শুরুতে শীতের প্রকোপ কম এবং শেষ দিকে শীত বেশি থাকায় পাবনার চাটমোহরে লিচুগাছে এবার মুকুল আসে দেরিতে। লিচুচাষিরা এখন লিচুবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত।
এবার বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন চাটমোহরের লিচুচাষিরা। লিচুগ্রাম খ্যাত উপজেলার গুনাইগাছা, রামচন্দ্রপুর, মণ্ডলপাড়া, বড় শালিখা, জালেশ্বরসহ আশপাশের গ্রামের বাগানগুলো লিচুগাছে সবেমাত্র ফল আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়া উপজেলার হরিপুর, ধরইল, বোঁথর, মথুরাপুর, খয়েরবাড়িয়াসহ অন্যান্য এলাকার গাছগুলোতেও লিচুগাছে প্রচুর গুটি এসেছে। লিচুরগ্রাম খ্যাত রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষি মাহাতাব হোসেন জানান, প্রতিটি গাছেই লিচু এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে এবার। রামচন্দ্রপুর বাগানমাালিকরা জানান, গত বছর এ অঞ্চলে প্রায় তিন কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চাটমোহরে দুই হাজার হেক্টর জমিতে লিচুবাগান রয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়ির উঠানসহ আশপাশেও অনেক লিচুগাছ আছে। এ উপজেলায় সাধারণত চায়না থ্রি, বোম্বাই, কাঁঠালি ও স্থানীয় জাতের লিচুর চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর, গুনাইগাছা, মণ্ডলপাড়া, হরিপুর, ধরইল, ধুলাউড়ি, বড় শালিখা, বড় গুয়াখড়া ও মূলগ্রামে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত মৌসুমের মতো এবারো লিচুতে লাভবান হবেন কৃষকরা। তবে সম্প্রতি চৈত্রের তাপদাহে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, লিচুগাছে সবেমাত্র মুকুল থেকে গুটি হতে শুরু করেছে। এখন হপার পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কম করে হলেও একবার বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। লিচুর ফলন এবার ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement