২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তা, মসজিদের দেয়াল, কবরস্থান

ওসমানীনগরে সাদীখাল নদীতে ভাঙন

ভাঙনকবলিত মসজিদ ও কবরস্থান : নয়া দিগন্ত -

সিলেটের ওসমানীনগরের সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীখালের ভাঙনে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম সুন্দিখলা গ্রামের ভিতরের রাস্তা, মসজিদের দেয়াল, কবরস্থান ও ফসলি জমি। অতীতে একবার গ্রামের মসজিদটি নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেলে গ্রামবাসী বর্তমান স্থানে পুনর্নির্মাণ করেন। তখন নদীতে বিলীন হয়ে যায় গ্রামের পুরনো রাস্তা, ফসলি জমি, খেলার মাঠ। এরপর থেকে প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে নদীর স্রোত বৃদ্ধি ফেলে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শুকনো মৌসুমে নদীর পানি নিচে নেমে গেলে ভাঙন শুরু হয়। ফলে এক সময়ের ছোট্ট সাদীখাল এখন রূপ নিচ্ছে খুবই গভীর ও প্রশস্ত নদীতে। আর নদীর ভাঙনের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না গ্রামের মসজিদ, চলাচলের রাস্তা, কবরস্থান, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন হয়ে সাদীপুর ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে উমরপুর ইউনিয়নের বানাইয়া হাওরে গিয়ে মিশেছে সাদীখালটি। নামে সাদীখাল হলেও বর্তমানে এটি একটি নদীর আকার ধারণ করছে। বর্ষার মৌসুমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে এর স্রোত বানাইয়া হাওরসহ আশপাশের হাওরের সাথে মিশে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়ে ভাটিতে প্রবাহিত হয়।
এলাকার প্রবীণ লোকদের ভাষ্য মতে, প্রায় তিন যুগ আগে এ খাল অনেক ছোট ছিল। তখনকার সময়ের ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করে বিকেলে সাঁতরিয়ে খাল পাড়ি দিতো। কিন্তু বর্তমানে খালটির গতি বৃদ্ধি পেয়ে এবং তীর ভেঙে নদীর রূপ ধারণ করেছে। বিগত তিন যুগে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে পশ্চিম সুন্দিখলা গ্রামের পুরনো মসজিদ, গ্রামের রাস্তা, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। গেল দুই বছর ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে বর্তমান মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানসহ নদী তীরের রাস্তা ও ফসলি জমিতে।
গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ মিয়া বলেন, আমাদের আগের বাড়ি ও রাস্তা ভেঙে বর্তমান নদীর মধ্যখানে রয়েছে। এখনকার রাস্তা পরিবর্তন করে আমরা পশ্চিম দিকে এনেছিলাম। এখন নদীতে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। আগামীতে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা তলিয়ে যাবে। স্থানীয় ছাবির আহমদ বলেন, নদীর তীরে গার্ডওয়াল, কবরস্থান ও মসজিদের গার্ডওয়াল, মসজিদ ও ঈদগাহের মুসল্লিদের অজুর জন্য স্থাপিত সিঁড়ি সবই আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা হয়েছে। ইদানীং মসজিদে আসার রাস্তা, কবরস্থান ও ঈদগাহের দেয়ালে ভাঙন শুরু হয়েছে। আগে নদী গভীর ছিল না, তাই কম বাজেটে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে কাজ করা হয়েছে। এখন নদীর গভীরতা অনেক বেশি। তাই আমাদের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাছ আলী তালুকদার বলেন, আমাদের গ্রামের বসতির জায়গা কম। ইদানীং নতুন করে নদীর ভাঙন যেভাবে শুরু হয়েছে তা রোধ না করলে সামনে সমস্যা আছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও ওসমানীনগর উপজেলা কর্মকর্তা গোলাম বারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এলাকার লোকজন একটি লিখিত আবেদন দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেবে যুক্তরাষ্ট্র আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার : আইনমন্ত্রী টিউবওয়েলের পানি খেয়ে আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ নারী আম্পায়ার নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আসলে কী ঘটেছিল? কোরবানির জন্য পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আশুলিয়ায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত, স্বামী গ্রেফতার জাতিসঙ্ঘের ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের জামালপুরে শ্রেণিকক্ষে ফ্যান খুলে পড়ে শিক্ষার্থী আহত নিজ নিজ ম্যাচে জয়ী হয়ে লা লিগায় শীর্ষ চারের আরো কাছাকাছি এ্যাথলেটিকো ও জিরোনা নাগরপুরে ট্রাক্টর-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

সকল