০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সীমান্তে অন্ধকার থেকে আলোর পথে শতাধিক মাদকাসক্ত

-

ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রাম জামালপুর। দিনের বেলা অন্য দু-চারটি গ্রামের মতো হলেও রাতের দৃশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাত হলেই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মেতে উঠে মাদক বেচাকেনার কারবারে। অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভের আশায় মাদক কারবারের সাথে জড়িয়ে নিজেরাই মাদকের নেশায় সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে তারা। এ চিত্র আশেপাশের গ্রামগুলোরও। নেশাগ্রস্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার। ইতোমধ্যে ১৩৯ মাদকাসক্তকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাথে ভারতের সীমানা রয়েছে ৪২ কিলোমিটার। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মাদকের সহজলভ্যতা অনেক আগে থেকে। গাঁজা, ফেনসিডিল ও হেরোইনে আসক্ত হয়ে পরিবারকে অতিষ্ঠ করে তুলছে মাদকাসক্তরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারের বিচার চেয়ে বহু পরিবারের আকুতি দেখেছি। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পুলিশ-বিজিবি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সচেতনতা সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পথসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ১৩৮ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সহায়তা ও অবদান রাখায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement