কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সংরক্ষিত বনের চোরাই গাছ। এখানকার বিভিন্ন স্থানে বন বিভাগের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে অর্ধ ডজন অবৈধ ডিপো, যেখানে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে আনা চোরাই কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। বন বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ কাঠচোররা এ অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পাশে তেলীপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ‘ভাই ভাই কাঠ বিতান’ সাইনবোর্ড দিয়ে নামে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ কাঠ ও চারাগাছ। গর্জন, আকাশমণি, মেহগনি, চাপালিশ ও আরো হরেক রকম গাছ ও কাঠ বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ডিপো মালিক নূরল আজিম বলেন, ঈদগাঁও, কালিরছড়া ও ইদগড় এলাকার বন থেকে এসব কাঠ ‘সওদাগরগণ’ রাতের আঁধারে পৌঁছে দেন। এখানে সওদাগর বলতে বনের কাঠ চোরদের বুঝিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও বাজারের মূল পয়েন্টে পাইপ বাজার, কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী সংলগ্ন এলাকা ও ভূমি অফিস সংলগ্ন উত্তর পাশেও গড়ে উঠেছে চোরাই বনজ কাঠের বিশাল স্টক। ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ফকিরাবাজারেও গড়ে উঠেছে অবৈধ বনজ কাঠের ডিপো। তবে ডিপো মালিক সালাহ উদ্দীন এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়েই তারা অবৈধ গাছের ব্যবসা চালু রেখেছেন। এসব ডিপো থেকে রাতের আঁধারে জেলা ও বাইরের বিভিন্ন এলাকায় কাঠ পাচার করা হয়।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও রেঞ্জ কমকর্তা আনোয়ার হোছাইন খান যোগদানের পর থেকে ঈদগাঁও উপজেলাব্যাপী বন উজাড় ও কাঠপাচার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আনোয়ার হোছাইন এই প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, এ ব্যাপারে আপনাদের কাছে কি কোনো ডকুমেন্ট আছে? প্রশ্ন করেই তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিছু জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণে এসব চোরাই কাঠের ডিপো ও অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা